সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপ্রধানের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে মাথানত নয়, আইনি পথে হেঁটেই বড় জয় ছিনিয়ে আনল বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়! হার্ভার্ডে বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, শুক্রবার বস্টনের ফেডারেল আদালত তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল। আপাতত হার্ভার্ডে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই আমেরিকার বাইরের ছাত্রছাত্রীদের। আর বস্টনের আদালতের এই নির্দেশে স্বভাবতই দমবন্ধ পরিস্থিতি বদলে খোলা হাওয়ায় আনন্দে মেতে উঠেছেন পড়ুয়ারা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি পড়ুয়াদের আর ভর্তি নেওয়া যাবে না, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার সকাল থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। তাঁর এহেন সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ’ বলে বিবৃতি জারি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান এম গার্বার। তাঁর কথায়, ”আমরা সবেমাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এবং এরপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের জন্য প্রস্তাব আনা হবে। আমরা আমাদের ছাত্র এবং গবেষকদের সমর্থন করার জন্য আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করার করব।” এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে।
সেই মামলা বস্টন ফেডারেল আদালতে শুনানির জন্য উঠলে হার্ভার্ডের তরফে তার নিজস্ব আন্তর্জাতিক বৈচিত্র্যকে সামনে রেখে সওয়াল করা হয়, ''আন্তর্জাতিক ছাত্রমহল ছাড়া হার্ভার্ড হার্ভার্ডই নয়। একটা কলমের আঁচড়ে এখানকার ছাত্রসমাজের এক চতুর্থাংশ এভাবে মুছে যেতে পারে না। সরকার তো সেই পদক্ষেপই নিচ্ছে।'' সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক অ্যালিসন বরোস ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন। উল্লেখ্য, অ্যালিসন বরোসকে বস্টন ফেডারেল আদালতের বিচারকের আসনে বসিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ডেমোক্র্যাট শিবিরের বারাক ওবামা। ফলে রিপাবলিকান ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের।