সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই রাষ্ট্রনায়ক হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ফের বৈঠক করবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের সম্ভাবনাকে নিজেই নস্যাৎ করেছেন ট্রাম্প। এবার শাস্তিস্বরূপ রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা। বুধবার মার্কিন ট্রেজারির প্রধান এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনে ভয়াবহ এবং অর্থহীন এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন পুতিন। তিনি তা বন্ধ করতে আগ্রহী নন। এর শাস্তিস্বরূপ দুই বৃহত্তম রুশ তেল সংস্থা রসনেফট এবং লুকঅয়েল-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। এই দুই তেল সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তারা পুতিনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’ প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও রাশিয়ার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবার এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করলেও বিশেষ সমাধানের রাস্তা বের হয়নি। দু’দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তা-ও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ফের একপ্রস্থ বৈঠকে বসার কথা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সময় নষ্ট করতে চান না। তিনি বলেন, “আমি কোনও অর্থহীন বৈঠক করতে চাই না। নিজের সময় নষ্ট করতে চাই না। দেখা যাক কী হয়।” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাশিয়ার বৃহত্তম তেল সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল আমেরিকা।
