সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থেকে যেন মুক্তি নেই আমেরিকার (USA)। বছরের শেষে আরেক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল দক্ষিণপূর্ব আমেরিকার উপর দিয়ে। যার জেরে কেনটাকি (Kentucky) প্রদেশে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘর হারিয়েছে আরও বহু। যদিও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গভর্নর। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা (State of Emergency) জারি করেছেন।
আমেরিকার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দাপুটে টর্নেডো বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার ২০০ মাইল জুড়ে বয়ে গিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। জানা গিয়েছে, ঝড়ের জেরে ভেঙে গিয়েছে মেফিল্ডের একটি মোম কারখানার ছাদ। তাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গভর্নর অ্যান্ডি বেশেরের মতে, মৃতের সংখ্যা ১০০ পর্যন্তও হতে পারে। তিনি এও বলছেন, ”কেনটাকির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়ংকর ঝড়। বড় বিপদ এড়াতে মাঝরাতেই আমি জরুরি অবস্থা জারি করেছি।” তা সত্ত্বেও ক্ষয়ক্ষতি খুব একটা এড়ানো যায়নি। যা ক্ষতি হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে মেরামতির চেষ্টা চলছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনও রয়েছে। তাই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: স্বামীর দেহ টুকরো টুকরো করে তার পাশেই নিশ্চিন্তে ঘুম স্ত্রীর, ফ্ল্যাটে ঢুকে হতবাক পুলিশ]
শুধু কেনটাকিতেই নয়, গোটা দেশেই কমবেশি দাপট দেখিয়েছে টর্নেডো। গত সপ্তাহেই ইলিনয়ের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আর তাতে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সংস্থা আমাজনের (Amazon) এক বড়সড় গুদাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে শতাধিক কর্মী আটকে ছিলেন। পরে তাঁদের একে একে উদ্ধার করা হয়। তবে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা কেউ ভুলতে পারছেন না। ক্রিসমাসের আগে নানা সামগ্রী বেচাকেনার জন্য আমাজনের উপর চাপ থাকে। কিন্তু ঝড়ের মতো বিপর্যয়ে গুদামঘর ভেঙেচুরে যাওয়ায় জিনিস সরবরাহে টান পড়ছে। তা নিয়ে চিন্তিত কর্তৃপক্ষ। ইলিনয়ের গভর্নর এবং পুলিশ প্রধানের আশ্বাস, সকলের নিরাপত্তা কাজ চলছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি যেমন, তাতে ক্রিসমাসের আগে এ ধরনের বিপর্যয়ে কার্যত দিশেহারা মার্কিনিরা।