সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্ভপাত (Abortion) অস্ত্রোপচারের পর এবার গর্ভপাতের ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকার (USA) আদালত। শুক্রবার টেক্সাসের আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মাইফপ্রিস্টন নামে ওই ওষুধটি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আমেরিকার অন্তত ৫৩ শতাংশ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এই ওষুধটিই ব্যবহার করা হয়। তবে এই রায় প্রকাশের এক ঘণ্টা পরেই ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালত জানিয়ে দেয়, ১৭টি প্রদেশে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে না।
গত বছরেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, পঞ্চাশ বছরের পুরনো গর্ভপাতের আইন এবার বাতিল করে দেওয়া হবে। আর আইনি বৈধতা পাবে না গর্ভপাত। এই রায়ের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে শামিল হন সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তারপরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেয় কয়েকটি প্রাদেশিক আদালত।
[আরও পড়ুন: মহিলাকে সামনে রেখে সোনা পাচারই ‘পারিবারিক পেশা’! হাতেনাতে গ্রেপ্তার বনগাঁর দম্পতি-সহ ৫]
গর্ভপাত করাতে না পেরে অসুস্থও হয়ে পড়েন বহু মহিলা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে মামলাও করেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে ফের গর্ভপাত বিরোধী রায় দিল টেক্সাসের (Texas) প্রাদেশিক আদালত। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের ওষুধ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার শুনানিতেই বিচারক জানিয়ে দেন, মাইফপ্রিস্টন উৎপাদনের অনুমতির উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন ইতিহাসে এর আগে কোনও ওষুধের উপর এহেন নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়নি।
টেক্সাস আদালতের বিচারকের তরফে বলা হয়, এই ওষুধ মানবশরীরের পক্ষে আদৌ নিরাপদ কিনা সেই বিষয়টি কোনওদিন ঠিক পরীক্ষা করে দেখাই হয়নি। এই জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন অর্থাৎ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তবে টেক্সাসের এই নির্দেশিকার কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনের আদালত। ১৭টি প্রদেশে মাইফপ্রিস্টন আগের মতোই বিক্রি করা যাবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন (Washington)।