সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকেই নানা পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে মার্কিন মুলুক। একদিকে অভিবাসী নিয়ে
ট্রাম্পের কড়া মনোভাব, অন্যদিকে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে 'গোল্ড কার্ড' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এবার নতুন আমেরিকায় উঠল সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অভিযোগ! জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের খবর করবেন কোন কোন সাংবাদিক, তা ঠিক করে দেবে হোয়াইট হাউস। আর এই নয়া নীতি ঘিরে বিতর্কের আঁচ ক্রমেই হয়ে উঠেছে গনগনে।
ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট আচমকাই এমন ঘোষণা করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, 'হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন' তথা WHCA-র কোনও মনোপলি থাকবে না সাংবাদিকদের বাছার ক্ষেত্রে। মনে রাখতে হবে এই 'প্রেস পুল' তথা সাংবাদিকদের ছোট যে গ্রুপ প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি হয় ওভাল অফিস কিংবা এয়ার ফোর্স ওয়ানে, তার এক সদস্য সংবাদ সংস্থা এএফপিও। সেই সংস্থার দাবি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ছিন্ন করছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও ৭৮ বছরের রিপাবলিকান নেতার দাবি, ''ট্রাম্প সবকিছুতেই সঠিক।''
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন নির্দেশিকা? আসলে এর পিছনে রয়েছে হোয়াইট হাউস ও সংবাদ সংস্থা এপির সংঘাত। শপথগ্রহণের পরই মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে 'গালফ অফ আমেরিকা' রাখেন ট্রাম্প। তাঁর নির্দেশ ছিল, এই নামই লিখতে হবে সাংবাদিকদের। কিন্তু এপি নাকি এই নির্দেশ মানেনি। আর তাতেই বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। এরপরই সাদা বাড়িতে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এপির উপরে। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় এপি। কিন্তু সোমবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আর তারপরই এমন নির্দেশ জারি করল হোয়াইট হাউস।
