সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু'মাসেই মৃত্যু হল শান্তির পায়রার! দেখনাই যুদ্ধবিরতি কি আরও বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল? গাজায় ইজরায়েলর বিমান হামলায় সাড়ে তিনশো প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নই এখন উঠছে। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরেই মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ভয়ংকর হামলা চালায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। এই দাবি করেছেন খোদ হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। তাহলে কি গাজার দখল নেওয়ার ট্রাম্পের শাসানি বাস্তব করতেই উঠে পড়ে লাগল ইজরায়েলি সেনা?

আমেরিকান ফক্স নিউজকে লেভিট জানিয়েছেন, গাজায় হামলা করার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করেন ইজরায়েলি প্রতিনিধিরা। এইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্টই করে দিয়েছেন হামাস, হুথি, ইরান— যারা শুধু ইজ়রায়েলেই নয়, আমেরিকাতেও সন্ত্রাস পাকাতে চায়, তাদের মূল্য চোকাতে হবে, তাদের উপর নরক বর্ষিত হবে।" উল্লেখ্য, হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, নয়তো তাদের উপর ‘নরক বর্ষিত’ হবে, এই হুঁশিয়ার ট্রাম্প আগেও দিয়েছেন। সেকথাই এদিন শোনা গেল হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিবের মুখে।
এদিকে মঙ্গলবারের হামলার পর হামাসের হাতে পণবন্দি ইজরায়েলিদের নিয়ে শঙ্কায় অসহায় আত্মীয় পরিবারগুলি। তাদের আশঙ্কা, এর পর বদলা নিতে পণবন্দিদের হত্যা করবে হামাস জঙ্গিরা। শঙ্কা সত্যি করে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস নেতা ইজ্জত আল-রিশেক। তিনি বলেছেন, নতুন এই হামলা হামাসের হাতে বন্দি থাকা বাকি ইজরায়েলিদের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ হতে পারে। পালটা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ইজরায়েলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যত ক্ষণ ইজরায়েলি পণবন্দিরা গাজায় আটকে থাকবেন, ততক্ষণ ইজরায়েল কোনও দয়া দেখাবে না। মঙ্গলবারের হামলায় হামলায় সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু সেকথাই প্রমাণ করল।
অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়ে গাজায় হামলার ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, "আমরা গাজার দখল নেব। আমাদের ওটা কিনতে হবে না। ওখানে কেনার মতো কিছুই নেই। আমরা গাজা নিয়ে নেব… নিতে চলেছি।" মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আরও বলতে শোনা যায়, প্যালেস্তিনীয়রা গাজা ছাড়তে পারলে খুশিই হবেন। কেননা সেখানে এই মুহূর্তে তাঁরা যে জীবন কাটাচ্ছেন তা ভয়াবহ।