সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ একর চাষযোগ্য জমি ও ফার্মহাউস।স্থপতিবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করেও ১৮ বছর ধরে একাই সামলেছেন জৈব চাষ। কিন্তু আর নয়, এবার শহুরে জীবনে ফিরে যেতে চান বেনেট শহর নিবাসী নরমা বার্নস। তাই ব্লু-বার্ড হিলের ফার্মহাউসটির দায়িত্ব তুলে দিতে চান অন্য কারওর হাতে। কিন্তু কাকে দেবেন? শেষপর্যন্ত অবশ্য বের করেছেন একটি অভিনব উপায়।
৮ ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হচ্ছে Gmail!
কেন তাঁর ফার্মহাউসটি কিনবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ২০০ শব্দের প্রবন্ধ লিখতে হবে। জমা দিতে হবে ১ জুনের মধ্য। ফল জানা যাবে ৩০ জুন। এরপরেই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিজয়ীর হাতে তুলে দেবেন চাবি। তবে শর্ত রয়েছে, প্রতিযোগিতার অংশ নিতে দিতে হবে ৩০০ ডলার আর যাঁরাই প্রবন্ধ পাঠাবেন তাঁদের বিবাহিত হতে হবে। দেখা গিয়েছে একা কেউ এতবড় জায়গাটি সামলাতে বা চাষ-আবাদ করতে পারবেন না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরমা। বার্নসের কথায়, ‘চাষ-আবাদ করতে আমার খুব ভাল লাগে। তাই আমি এমন লোকজনকে খুঁজছি, যাঁদের এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং পুরো জায়গাটির ঠিকমতো খেয়াল রাখবেন। এছাড়া তাঁদের অনেক পরিশ্রমও করতে হবে। কারণ চাষ-আবাদটা যে আসলে পরিশ্রমেরই কাজ।’
নরমা বার্নস ও তাঁর স্বামী বব বার্নস ১৮ বছর আগে ১৩ একর জায়গাটি কেনেন। বব নর্থ ক্যারোলিন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করতেন। নরমা বলেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী যখন জমিটি কিনি, তখন এখানে ছাদহীন শস্যঘর, একটি পোড়ো বাড়ি এবং আশপাশে আগাছা ভর্তি বাগান ছিল। সেখান থেকেই আমরা একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করি। আশাপাশে জৈব চাষ শুরু করি। তাই আমি চাই এমন কেউ দায়িত্ব নিক, যে আমার মতোই এটির খেয়াল রাখবে।’
এবার Whatsapp নিয়ে এল দুর্দান্ত এই ফিচার
নরমা বার্নসের ১৩ একর জমির আর্থিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে তিনজনকে নিয়োগ করেছেন তিনি। তাঁরাই প্রবন্ধগুলি দেখে বিজয়ী ঠিক করবেন।
The post ১৩ একরের ফার্মহাউস চান? লিখে ফেলুন ২০০ শব্দের প্রবন্ধ appeared first on Sangbad Pratidin.