সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের এক শরণার্থী শিবিরে কামানের তোপে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ২৯ জনের। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। মায়ানমারের চিন সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় মায়ানমার সেনা। দাবি, তারাই ওই আগুন লাগিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই জুন্টার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই আগুন সেনা লাগায়নি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালে মায়ানমারের (Myanmar) দখল নেয় জুন্টা। এরপর থেকে মাঝে মাঝেই এই ধরনের হামলার অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা সেই তালিকার মধ্যে অন্যতম ভয়ংকর দুর্ঘটনা বলে ধরা হচ্ছে। গভীর রাতে আচমকাই মায়ানমার সেনা হামলা করে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করছে জুন্টা।
[আরও পড়ুন: ‘গভীর উদ্বেগের’, রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলকে কটাক্ষ করে নিন্দায় মুখর পাকিস্তান]
মায়ানমার সেনার তরফে মুখপাত্র জও মিন টুন জানাচ্ছেন, ”আমরা তদন্ত শুরু করেছিল। সীমান্তে শান্তি পরিস্থিতি বজায় রাখতে আমরা তৎপর।” এদিকে পালটা তোপ ইউরোপীয় ইউনিয়নে মায়ানমারের বৈধ সরকারের তকমা পাওয়া NUG ও ইয়াঙ্গনের ব্রিটিশ দূতাবাসের। তাদের দাবি, মাঝরাতে হওয়া ওই হামলা আসলে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ। ব্রিটিশ দূতাবাসের অভিযোগ, অবিলম্বে এই ধরনের নারকীয় কাণ্ড থেকে বিরত থাকুক জুন্টা।