সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) পর এবার কেন্দ্রের নয়া মাথাব্যাথার নাম লাদাখ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে একযোগে আন্দোলন শুরু করল সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি। শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) সাংসদ লাদাখে থাকাকালীনই সেখানে বনধ পালন করেছে স্থানীয় একাধিক সংগঠন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। শনিবারই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৫ আগস্ট ২০১৯। বিতর্কিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়ে তৎকালীন অঙ্গরাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অপরটি লাদাখ। তারপর দু’বছর পেরিয়েছে। একাধিকবার রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি উঠেছে কাশ্মীরে। উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি জোট বেঁধে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
[আরও পড়ুন: Taliban নিয়ে কৌশল বদলাতে হতে পারে ভারতকে, ‘সুর নরম’ করার ইঙ্গিত রাজনাথের]
সে তুলনায় এতদিন শান্ত ছিল লাদাখ এলাকা। কিন্তু এবার সেটাও মাথাব্যাথা বাড়ানো শুরু করল কেন্দ্রের। মোটামুটিভাবে লাদাখের সব রাজনৈতিক দল(বিজেপি ছাড়া) এবং বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন একযোগে পৃথক রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। ঠিক যে সময় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা লাদাখ সফরে, তখনই এই বিক্ষোভ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারের প্রচার করা মিথ্যা প্রকাশ্যে আনুন’, বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি]
আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে লাদাখ এবং লেহর পরস্পর বিরোধী একাধিক সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে আন্দোলন শুরু করেছে। এবং শনিবারের বনধে স্থানীয়রাও ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের (Nityananda Rai) সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার নাগরিকদের সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল অনুযায়ী আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। লেহ এবং কার্গিলের জন্য আলাদা লোকসভা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এবং স্থানীয় যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। লাদাখে নতুন করে শুরু হওয়া রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের।