সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই গঙ্গার জলে পদক বিসর্জন নয়। মঙ্গলবার এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়ারা (Bajrang Punia)। আপাতত কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্রকে, এমনই দাবি কুস্তিগিরদের। মঙ্গলবার কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা নরেশ টিকায়েত। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেন সাক্ষীরা। এমনকি, তাঁদের সমস্ত পদক আপাতত নিজের কাছেই রেখেছেন কৃষক নেতা।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে বিবৃতি দিয়ে কুস্তিগিররা জানান, তাঁদের সমস্ত পদক হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন। তারপর থেকে আমরণ অনশনে বসবেন। যেভাবে তাঁদের রাস্তায় ফেলে হেনস্তা করা হয়েছে অথচ অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে সসম্মানে সংসদ ভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার প্রতিবাদ করতেই এই সিদ্ধান্ত। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেল ছ’টার সময়ে হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটেও পৌঁছে যান কুস্তিগিররা।
[আরও পড়ুন: ‘মণিপুরে শান্তি না ফিরলে পদক ফেরাব’, শাহকে চিঠি মীরাবাই চানু-সহ রাজ্যের ১১ ক্রীড়াবিদের]
হরিদ্বারে পৌঁছনোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন কুস্তিগিররা। প্রথম থেকে তাঁদের আন্দোলনের সমর্থনকারী কৃষক নেতারা জানান, হরিদ্বারে গিয়ে কুস্তিগিরদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ পরে হরিদ্বার পৌঁছন নেতা নরেশ টিকায়েত। দীর্ঘক্ষণ ধরে কুস্তিগিরদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়া সাক্ষী-ভিনেশদের (Vinesh Phogat) সান্ত্বনা দিয়ে তাঁদের চোখের জলও মুছিয়ে দেন।
তারপরেই কেন্দ্রকে সাফ হুঁশিয়ারি দেন কুস্তিগিররা। তাঁরা বলেন, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে। ততদিন পর্যন্ত পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখবেন কুস্তিগিররা। বজরং-সাক্ষীদের সমস্ত পদক নিজের দায়িত্বে রাখবেন বলে জানান কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েত। হর কি পৌরি ঘাট ছেড়ে ফিরেও যান কুস্তিগিররা সকলেই। আগামী দিনে কোন পথে এগোবে তাঁদের আন্দোলন, সেই নিয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।
দেখুন ভিডিও।