সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনের ইউহানে প্রাণ হারালেন চিকিৎসক হু ওয়েইফেং (Hu Weifeng)। প্রায় ৪ মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চিনের ইউহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের এই চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।
মনে পড়ছে হু ওয়েইফেং-এর কথা? যিনি সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। চার মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। করোনার আঁতুরঘর চিনের ইউহানের (Wuhan) এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই নিয়ে ইউহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে ছ’জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হু ছিলেন ওই হাসপাতালের ইউরোলজিস্ট।
[আরও পড়ুন:‘মুখ বন্ধ রাখুন’, ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে ট্রাম্পকে তোপ হিউস্টনের পুলিশকর্তার]
জানা গিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে হু-র মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপরে চিকিৎসায় কিছুটা সাড়াও দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও ফের ২৯ মে থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাঁকে আর সুস্থ করে তোলা যায়নি। এই বিষয়ে ইউহান সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের প্রায় ৬৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়।
[আরও পড়ুন:লকডাউনে ভাঁড়ারে টান, রাজকোষ ভরাতে ধনীদের নিশানা করলেন কিম]
করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করতে গিয়ে ইউহান কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকিত্সক লি-এর মৃত্যু হয়েছিল আগেই। পরে তাঁর দুই সহকর্মী চিকিত্সক হু ওয়েইফেং এবং ই ফানও মারণ ভাইরাসের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাননি। চিকিত্সা চলাকালীন দু-জনেরই শরীরের রং পরিবর্তীত হয়ে কালো হয়ে যায়। সেই ছবিও পরে প্রকাশ্যে আসে। চিনের ওই দুই চিকিৎসকের নাম বিশ্ব ভুলে গেলেও করোনার প্রভাবে তাঁদের শারীরিক পরিবর্তনের স্মৃতি দাগ কেটেছে সকলের মনে। সেই স্মৃতি আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্ববাসীর মধ্যে। ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে চিনে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ।
The post করোনায় পুড়েছিল ত্বক, চার মাসের লড়াই শেষে মৃত ইউহানের চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.