সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশ চালানোর ভার তাঁর কাঁধে। কূটনৈতিক আলোচনার জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে দূর দেশে। ‘শত্রু’ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয়েছে। এতকিছুর মধ্যে স্ত্রীর জন্মদিনটাই ভুলে গেলেন! বিয়ের ৩৫ বছর কেটে যাওয়ার পরেও মনে রাখতে পারলেন না জীবনসঙ্গীর জন্মদিন। কিন্তু এহেন সময়ে মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে এলেন কে? সেই ‘শত্রু’ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান! জীবনসঙ্গিনীর জন্য অবশ্যই উপহার কিনতে হবে, সেটা মনে করিয়ে দিতেও ভুললেন না।
গল্পের দুই চরিত্র আর কেউ নন, আমেরিকা ও চিন- দুই দেশের প্রেসিডেন্ট। সদ্যই আমেরিকা সফরে গিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। বুধবার সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত- বিশ্বজুড়ে রক্তপাতের আবহেই আলোচনায় বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁদের বৈঠকও খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে কত অস্ত্র মজুত করেছে হামাস? ভিডিও দেখাল ইজরায়েলি ফৌজ]
তবে দুই দেশের মতবিরোধ, কূটনীতিক লড়াইকে ছাপিয়ে উঠে এসেছে সম্পূর্ণ অন্য এক সমীকরণ। আলোচনার শেষে আচমকাই জিনপিংয়ের স্ত্রীর কথা বলেন বাইডেন। চিনা প্রেসিডেন্টকে বলেন, “আপনার স্ত্রীকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আমার তরফ থেকে এই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে দেবেন।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই কথা শুনে জিনপিংয়ের চক্ষু চড়কগাছ। বাইডেনের কথা বুঝতেই পারেননি। বেশ খানিকক্ষণ পরে ব্যাপারটা বোধগম্য হয় তাঁর। স্ত্রীর জন্মদিন মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
স্ত্রীর জন্মদিনে অবশ্যই একটা কার্ড দিতে হবে, জিনপিংকে সেটাও মনে করিয়ে দেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে পেং লিউয়ানকে বিয়ে করেন জিনপিং। আগামী ২০ অক্টোবর ৬১ বছরে পা দেবেন চিনের ফার্স্ট লেডি। ওই একইদিনে ৮১ বছরে পা দেবেন বাইডেনও। সেই জন্যই আগে থেকে চিনা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে জন্মদিনের বার্তা পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।