সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া চাপে চিন (China)। একদিকে লাফিয়ে বাড়ছে সে দেশের করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে লকডাউন থেকে মুক্তি চাইছে বেজিংয়ের আমজনতা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে পশ্চিমি দেশে প্রস্তুত কোভিড টিকাকে গ্রহণ করতে রাজি নন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের কর্তা অ্যাভরিল হেইনেস এমনটাই জানাচ্ছেন।
চিনে করোনার রক্তচক্ষু কমার নাম নেই। তবুও বহু শহরই পরীক্ষার মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়বে কি না সেই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন নিরাপত্তা দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে চিন সম্পর্কে মুখ খোলেন হেইনেস। তিনি বলেন, ”চিন স্বদেশীয় টিকার উপরই নির্ভর করতে চাইছে। এটা তাদের জন্য জাতীয় গৌরবের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমী টিকাকে সবুজ সংকেত দেওয়াটা চিনের পক্ষে সম্ভব নয়।” সরাসরি না বললেও স্বদেশি টিকার উপরই একমাত্র নির্ভরতাই যে জিনপিং প্রশাসনের ভুল, সেটাই যেন বোঝাতে চাইলেন হেইনেস।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও বিদ্যুৎ নেই!’, হলদিয়ার ২ গ্রামে গিয়ে অবাক কুণাল]
চিন প্রথম থেকেই করোনা মোকাবিলায় নিজেদের দেশে তৈরি টিকাতেই ভরসা রেখেছে। বিদেশি সংস্থার তৈরি টিকাতে ‘না’ করে দিয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও গবেষকদের দাবি, চিনের টিকা মার্কিন বা অন্যান্য বিদেশি টিকার মতো কার্যকরী নয়। যদি সেটাই সত্যি হয়, তাহলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাটা জিনপিংয়ের পক্ষে বেশ ঝুঁকির, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণের পাশাপাশি চিনের প্রশাসনের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে আমজনতার বিক্ষোভ। দিন কয়েক আগে উরুমকি শহরের একটি বাড়িতে আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বহুতলটির চারপাশে লকডাউন থাকায় সেই বহুতলের বাসিন্দারা পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারেননি। এরপর থেকেই দেশজুড়ে জোরালো হয়েছে বিক্ষোভ। সকলের একই দাবি, চিনের সমস্ত প্রান্ত থেকে কড়া লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে। এমনকী, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনের অবসানের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে করোনা কাঁটা ফের একবার চাপ বাড়াচ্ছে চিনের উপর।