দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস (Yaas) সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পূ্র্বাভাস মিলতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে গিয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কিত পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, “ঝড়ের আগে কান্তি আসে।” কথাটা একবর্ণও মিথ্যে নয়, ফের তা প্রমাণ করে দিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা। তিনবার হেরেও দুর্যোগে রায়দিঘীবাসীর পাশে দাঁড়াতে ভুললেন না তিনি।
আয়লা, বুলবুল, ফণীর মতো ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই এলাকার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আয়লা যখন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা গ্রাস করেছে, সামান্য পানীয় জলের জন্য হাহাকার করেছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সময় সকলের কাছে খাবার, জল, ত্রিপল পৌঁছেছেন কান্তিবাবু। ফণী, বুলবুলেও মানুষের পাশে থেকেছেন। ২০২০ সালে লকডাউন চলাকালীন রাজ্যে তাণ্ডব চালায় আমফান। সেই সময়ও নিজের সাধ্যমতো মানুষের উপকার করেছেন। বৃষ্টি মাথায় ঘুরেছেন গ্রামে গ্রামে। বাঁধ মেরামতির কাজেও হাত লাগাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। জয়ের মুকুট মাথায় ওঠেনি। তা সত্ত্বেও এলাকার মানুষের থেকে মুখ ফেরাননি তিনি। ইয়াস বা যশ আসার আগেই পৌঁছে গিয়েছেন রায়দিঘিতে।
[আরও পড়ুন: বুধ-শুক্র-রাহুর অবস্থানই ডাকছে একের পর এক দুর্যোগ! যশের নেপথ্যেও কি এই তিন গ্রহ?]
মঙ্গলবার রাতে ২ টি গাড়িতে করে ত্রিপল, খাবার ও ওষুধ রায়দিঘিতে পাঠান তিনি। বাইকে চেপে পৌঁছে যান নিজে। গতকাল থেকেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একের পর এক গ্রাম। খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছেন সেখানে। বুধবার বৃষ্টি একটু কমতেই ছাতা মাথায় গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন তিনি। বাঁধ মেরামতি যাতে তাড়াতাড়ি হয় সেদিকে নজর দিয়েছেন। তবে এবার আর নিজে হাত লাগাতে পারেননি, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসুস্থতা। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করে দিয়েছেন, ভোটবাক্স যেদিকেই যাক, তিনি রয়েছেন মানুষের পাশেই।