অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াসে (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জায়গা স্থলপথে, আকাশপথে ঘুরে দেখবেন তিনি। রয়েছে একগুচ্ছ প্রশাসনিক বৈঠকও। এদিকে, আজই বিপর্যস্ত এলাকা দেখতে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি দেখার পর কলাইকুণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অতি সংক্ষিপ্ত বৈঠক। পরিদর্শনের যাবতীয় খুঁটিনাটির LIVE UPDATES:
বিকেল ৫. ২০: দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিজেই খতিয়ে দেখছেন তিনি।
বিকেল ৪.২০: ‘যশ’ সামলাতে বাংলাকে হাজার কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদির। এছাড়া সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ফেরার পরই জানালেন মোদি।
বিকেল ৩.৫০: করোনা নিয়েই ‘যশ’ মোকাবিলায় কাজ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর প্রশংসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুশল সংবাদ জানতে চান। জিজ্ঞেস করেন, “পূর্ণেন্দু, তুমি শরীরের যত্ন নিচ্ছ? তুমি অসুস্থ অবস্থাতেও ঘর থেকে কাজ করছ। নিজেকে কিন্তু অবহেলা কোরো না। কারণ এই রোগটা অবহেলা করলেই বাড়ে। তাই সুস্থ থেকো। কেউ কিছু মনে করবে না। কারণ সবাই জানে তুমি অসুস্থ। তোমার টিম আছে, টিমই কাজ করবে।”
দুপুর ৩.৪৬: মোদির সঙ্গে অতি অল্প সময়ের সাক্ষাতে বিপদ মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘা সৈকত উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি এবং সবমিলিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন। তবে সেই টাকা পাবেন কি না, তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে সংশয় প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর ৩.৪৪: ডিপ টিউবওয়েলে নোনাজল ঢুকেছে, পানীয় জল পাওয়া যাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে টিউবওয়েল বসানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
দুপুর ৩.৩৪: ‘যশে’ তছনছ হয়ে যাওয়া দিঘার মেরিন ড্রাইভ পুনর্গঠনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। নতুন অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিলেন। ঝাউবন সংরক্ষণে বিশেষ নজর।
দুপুর ৩.৩০: ক্ষতিগ্রস্ত দিঘাকে ফের সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব মুখ্য সচিবকেই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ৩.২৪: দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক শুরু মুখ্যমন্ত্রীর। রয়েছেন মুখ্যসচিব। ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খেজুরি ২, নন্দীগ্রাম, কাঁথি ১, কাঁথি ২, কাঁথি ৩, রামনগর ১, রামনগর ২। জানালেন বিডিওরা।
দুপুর ৩.১৫: দিঘা পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে ‘যশ’ বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন, করবেন প্রশাসনিক বৈঠকও। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে এই জায়গাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
দুপুর ২.৩০: নামমাত্র সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। ‘যশে’র ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়েই দিঘা উড়ে গেলেন মমতা।
দুপুর ২.১৫: কলাইকুন্ডা পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ২. ১০: রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আলাদা সময় চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ২: কলাইকুন্ডা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘যশ’ নিয়ে বৈঠক করবেন, পরিস্থিতিও দেখবেন।
দুপুর ১.৪৪: ‘যশ’ বিধ্বস্ত এলাকা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আকাশপথে দেখছেন ক্ষয়ক্ষতি।
দুপুর ১.৩৩: কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে প্রবেশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার।
দুপুর ১: ‘যশ’ বৈঠকে যোগ দিতে কলাইকুন্ডায় পৌঁছলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
দুপুর ১২.৫৫: প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর ‘যশ’ বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
দুপুর ১২.৫১: কাঁচা মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করলে তা ভেঙে যাচ্ছে, টাকাও জলে চলে যাচ্ছে। ঘাসের মতো শক্ত কিছু দিয়ে বাঁধ করলে তা শক্ত হবে। সেটা করা যায় কি না, দেখুন। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে জেলাশাসক পিবি সেলিমের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখলেন তিনি।
দুপুর ১২.৪৫: ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার পরিস্থিতির বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। কোন ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতি, শুনলেন জেলাশাসকের থেকে। দরিদ্ররা যেন ঠিকমতো ত্রাণ পায়, দেখতে হবে। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, ফের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
দুপুর ১২.৪০: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। কপ্টার থেকে নেমে হাত নেড়ে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করলেন।
বেলা ১১.৫৩: সংক্ষিপ্ত বৈঠক সেরে হিঙ্গলগঞ্জ ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার যাবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরে।
বেলা ১১.৫০: খাবার ও ত্রাণ নিয়ে কোনও বঞ্চনা চাই না। যাঁদের যা প্রয়োজন, তা দিতেই হবে। সকলে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কোনও অভিযোগ যেন শুনতে না হয়। ফের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ওষুধ দিতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে গর্ভবতী ও প্রসূতিদের দিকে। নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বেলা ১১.৪৮: পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেউ এলাকা ছেড়ে ফিরে যাবেন না, জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
বেলা ১১.৪৫: ৫৫টি বাঁধ ভেঙেছে বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায়। বেশ কয়েকটি রাস্তাও বেহাল। এসবের দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
বেলা ১১.৪৩: ত্রাণবণ্টনের ক্ষেত্রে সরকারের নিজস্ব প্রকল্প ‘দুয়ারে ত্রাণ’-এর পরিকল্পনা ফের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেলা ১১.৪০: ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ইস্যু করবেন না। দুর্গতদের ত্রিপল দিতে যেন কার্পণ্য না হয়। সবাইকে মাস্ক, ওয়াটার পাউচ দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণশিবিরে যাঁরা আছেন, তাঁদের সমস্যা যেন না হয়। প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করলেন মমতা।
বেলা ১১.৩২: হিঙ্গলগঞ্জে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে শুরু জেলার প্রশাসনিক বৈঠক।
বেলা ১১.১০: যশ বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জের উদ্দেশে কপ্টারে রওনা মুখ্যমন্ত্রীর। সঙ্গে মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।