সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অ্যাঁদিনিয়ে-ভু!’ অর্থাৎ ‘ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠো!’ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে গদিচ্যুত করতে এই স্লোগানেই উত্তপ্ত হয়েছিল ভালবাসার শহর। বেশিদিন নয়। গত বছর ১৭ নভেম্বরের শনিবার থেকে পয়লা ডিসেম্বর অবধি পর পর তিন শনিবার ফ্রান্স জুড়ে লক্ষাধিক মানুষ পথে নামেন সোশ্যাল মিডিয়ার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আন্দোলনের পোশাকি নাম ‘ইয়েলো ভেস্ট’। কিন্তু আর নয়। মঙ্গলবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জানিয়ে দিলেন, সরকারকে কোণঠাসা করতে যাঁরা কোনও রকম অসংগঠিত আন্দোলনে শামিল হবেন, তাঁদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন। এখানেই শেষ নয়। ফিলিপ জানালেন, প্রয়োজনে নতুন আইনও আনা হতে পারে।
[তিব্বতে বিপুল সমরসজ্জা চিনের, মোতায়েন শক্তিশালী হাউৎজার কামান]
এই প্রসঙ্গে ফিলিপ উগ্র ফুটবল সমর্থকদের কথা উল্লেখ করেছেন। ফিলিপ বলেন, “ফুটবল দেখতে ঢুকে অনেকেই স্টেডিয়ামে মারমুখী হয়ে ওঠেন। এবং উত্তেজনা ছড়ান। ধরা পড়লে সারা জীবনে আর তাঁরা স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেন না। আন্দোলনে পা মেলালেও সেই পদক্ষেপ করা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার মতো সাহস থাকার থেকে না-থাকা ভাল।” জ্বালানির লাগামছাড়া দামের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে বিক্ষোভের শুরুটা হয়েছিল রাস্তা আটকে। ‘ম্যাক্রঁ দূর হটো’-প্যারিসের রাস্তায় এমন দু’-একটা পোস্টারও চোখে পড়েছিল প্রথম দিকে। কিন্তু দু’সপ্তাহের মধ্যেই সেই ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদ যে ভাবে মারমুখী হয়ে ওঠে, তাতে কপালে ভাঁজ প্রশাসনের। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ নিজে রাস্তায় নেমে দেখেছেন। যত্রতত্র গাড়ি পুড়ে ছাই। লুঠপাটের পরে বেআব্রু দোকানপাট। দেওয়ালে-দেওয়ালে সরকার-বিরোধী স্লোগান। তার পরই সরকার সুর নরম করে।
উল্লেখ্য, জ্বালানীর ওপর কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত নভেম্বর মাসে ফ্রান্সের শহরগুলিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়| পরে তা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার অন্যায়ভাবে পুঁজিবাদীদের পক্ষে এই নীতি গ্রহণ করেছে বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। বিক্ষোভকারীরা অত্যন্ত উজ্জ্বল হলুদ রঙের জ্যাকেট পরে এই আন্দোলনে নেমেছেন।
The post ধর্মঘটীদের খোয়াতে হবে নাগরিকত্ব, হুঁশিয়ারি ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.