হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'ডিজিটাল মহাকুম্ভ'-এর স্বপ্ন সার্থক করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বপ্নের বাস্তবায়নে রাজ্যের নতুন প্রতিষ্ঠিত ৭৬তম জেলা 'মহাকুম্ভ নগরে' রেকর্ড সময়ে যাবতীয় নাগরিক পরিষেবা প্রদান করেছেন যোগী। এই মুহূর্তে কুম্ভমেলা ২০২৫-এর প্রস্তুতি তুঙ্গে।
এবারই প্রথম মেলা আয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যাপক হারে কাজে লাগানো হয়েছে। যোগী সরকারর তরফে তৈরি করা হয়েছে 'মহাকুম্ভ ল্যান্ড অ্যান্ড ফেসিলিটি অ্যালোকেশন' অ্যাপ। সেখানে এক ক্লিকেই জানা যাচ্ছে পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনের যাবতীয় তথ্য। এই অ্যাপের মাধ্যমেই পরিষেবা মিলছে দ্রুত। মেলায় অংশগ্রহণের আবেদন করা যাচ্ছে অ্যাপেই। মেলাপ্রাঙ্গনে স্থান পাওয়া এবং পরিষেবা সংক্রান্ত অনুমোদনের মিলেছে কি না, তাও বলে দেবে অ্য়াপ।
মুখ্যমন্ত্রীর যোগীর নজরদারিতে এবারে মেলায় বাড়ছে স্টলের সংখ্যাও। ২০১৯-এর মেলায় যেখানে ৫৫০০টি স্থান দেওয়া হয়েছিল সাধুদের আখড়া ও অনন্যা সংস্থা, পরিষেবার জন্য। সেখানে এবার তা দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার আখড়া, এবং সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা সংস্থাকে।
প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
কুম্ভ মেলার মুখপাত্র বিবেক চতুর্বেদীর জানান, ৩৫ থেকে ৪০ কোটি মানুষ জড়ো হবেন। তাঁদের জন্য জরুরি সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাস্তা, সেতু, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার বন্দোবস্ত। অসংখ্য তাঁবু খাটানো হচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে দেড় লাখ অস্থায়ী শৌচাগার, বিদ্যুৎ সরবরাহে পোঁতা হয়েছে ৬৮ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি। খাওয়াদাওয়ার জন্য থাকছে কমিউনিটি কিচেন। যেখানে একসঙ্গে ৫০ হাজার জন খেতে পারবেন।
মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর মহাকুম্ভর আসর নির্বিঘ্নে উদযাপন করা হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজ সাফল্যের সঙ্গে করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্তরী যোগী আদিত্যনাথ। বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন।