সুলয়া সিনহা: ‘পাঞ্জাব’ (Punjab) শুনলে আমার-আপনার সর্ষে খেত আর পাগড়ির কথাই বেশি করে মনে পড়বে। খুব বেশি হলে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। কিন্তু ভোজনরসিকদের মনে পড়বে কতশত খাবার – লস্যি, মক্কাই দি রোটি, সর্সো দা শাক, অমৃতসরি পরোটা, চিকেন রাড়া পাঞ্জাবি – আরও কত কী। তবে এসবের স্বাদ পেতে মোটেই পঞ্চনদের তীরে যাওয়ার দরকার হয় না। খাস কলকাতা কিংবা যে কোনও শহরে বসেই আপনি পাঞ্জাবি ডিশের স্বাদ পেতে পারেন। কিন্তু তা কতটা খাঁটি জানেন কি? আসুন তবে, তারই হদিশ দি আপনাকে।
উনুনে সদ্য সেঁকে আনা তন্দুর, সঙ্গে মুর্গ মালাই কাবাব, বাটার চিকেন, অমৃতসরি মাচ্চি কিংবা রাড়া গোস্ত। আহ! নাম শুনেই জিভে জল আসছে তো? বেশ তো, এসব আপনার সামনে সাজিয়ে তুলবে যশোর রোডের এক রেস্তরাঁ। নামেই যার পরিচিতি – ‘পাঞ্জাব চক’ (Punjab Chowk)। শুধু নামেই নয়, পাঞ্জাব চক স্বাদেও সত্যিই খাঁটি একটুকরো পাঞ্জাবি রান্নাঘর যেন। তবে কাজটা মোটেই সহজ নয়। বাংলায় বসে খাঁটি পাঞ্জাবির খাবারের স্বাদেই সোজা পাঞ্জাবের মাটিতে নিয়ে চলে যাওয়া একেবারেই সহজ ছিল না। তবু নিজদের উপর আস্থা আর খাদ্যরসিক বাঙালির আকর্ষণের সকথা মাথায় রেখে সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজটি করেছে পাঞ্জাব চক।
[আরও পড়ুন: হাতে পছন্দের পানীয়, পাতে তুরস্কের খাবার, সপ্তাহান্তে ডিনার সারতে চলে আসুন এই রেস্তরাঁয়]
আমিষ এবং নিরামিষ – দু’ধরনের খাবারের বিপুল সম্ভার এখানে। নিরামিষের মধ্যে পিন্ডিচোলি চাওল, ডালমাখানি তো বিখ্যাত। পিন্ডিচোলি চাওল আসলে গ্রামীণ পাঞ্জাবের এক রেসিপি, ঘরের মহিলাদের হাতে তৈরি। কিন্তু এতটাই সুস্বাদু যে মুখে তুলতেই আপনার মনে হবে যেন পাঞ্জাবি গ্রামের ঘরে বসেই খাওয়াদাওয়া করছেন। তাছাড়া স্টাফড পরোটাও বেশ জনপ্রিয়। আর আমিষ পদ? কত আর নাম করা যাবে? মিরচি লাচ্চা পরোটা, কিমা কালেজি মসালা, রাড়া গোস্ত। খাঁটি পাঞ্জাবি স্বাদ।
খেতে তো খুবই ইচ্ছে হচ্ছে, কিন্তু এই করোনা কালে কীভাবে রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবেন? তাই ভাবছেন তো? সেই ভাবনারও নিরসন করেছে পাঞ্জাব চক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রান্না হচ্ছে তাদের হেঁশেলে। চালু হয়েছে অনলাইনে ডেলিভারিও। সুইগি (Swiggy), জোম্যাটো (Zomato) অ্যাপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে পাঞ্জাব চক। একবার অর্ডার করলেই বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির আপনার পছন্দের ডিশ। ফলে এখন বাড়িতে বসেই খাঁটি পাঞ্জাবি খানার স্বাদ পাবেন। খরচের কথা ভাবছেন কি? তাও একেবারে সাধ্যে মধ্যেই। মাথা পিছু মাত্র ৩০০ টাকা। এটুকু রেস্ত খসালেই যা খুশি খেতে পারেন। তবু ঠিকানাটাও জেনে রাখুন। ২৮, যশোর রোড, দমদম। সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রেস্তরাঁ।