সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশের হানায় পুলওয়ামায় শহিদ হয়েছেন ৪৯ জন ভারতীয় জওয়ান৷ ঘটনার পাঁচদিন পর মুখ খুলেও, এই হামলার বিষয়ে সামান্যতম দুঃখ প্রকাশ করেননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ বরং দায় ঝেড়ে ফেলার সব রকমের চেষ্টা করেছেন তিনি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দেখানো পথে হাঁটল না সেদেশের যুব সমাজ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলওয়ামা হামলার তীব্র নিন্দা করে, পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে কার্যত কালি লেপে দিলেন তাঁরা৷
[পুলওয়ামার অপরাধী মাসুদ আজহারের নিরাপত্তা বাড়াল পাকিস্তান ]
গত বৃহস্পতিবারের এই ভয়ংকর জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছে আপামর দেশবাসী৷ প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে গোটা দেশ৷ সীমান্ত পেড়িয়ে যার রেশ পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানেও৷ পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গি হানার নিন্দা করতে শুরু করেছে সেদেশের যুব সমাজও৷ শেয়র মিরজা নামের এক পাক মহিলা প্ল্যাকার্ড হাতে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন৷ যাতে লেখা, ‘আমি একজন পাকিস্তানি এবং আমি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার নিন্দা করছি৷’ হ্যাজ ট্যাগ হিসাবে তিনি ব্যবহার করেন #AntiHateChallenge #NoToWar৷ এরপর আবার তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশাত্মবোধের জন্য আমি মানবিকতার ব্যবসা করতে পারব না৷’ নিজের ব্যক্তিগত মতামত ‘Aman Ki Asha’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপেও পোস্ট করেন তিনি৷ এছাড়া জওয়ান ও যুদ্ধ সস্পর্কে ভারতীয় কবি শাহির লুধিয়ানভির লেখা একটি কবিতাও পোস্ট করেন শেয়র৷ তাঁর এই পোস্টের ব্যাপক প্রভাব পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে তাঁর এই পোস্ট৷ তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পুলওয়ামার ঘটনার নিন্দায় সরব হন আরও অনেক পাক নাগরিক৷
[পুলওয়ামা হামলায় ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প]
পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে৷ বিশ্বের অনেক দেশই এই হামলার নিন্দা করেছে৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে৷ ব্যাতিক্রম পাকিস্তান৷ ঘটনার পাঁচদিন পর মঙ্গলবার মুখ খোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এবং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সন্ত্রাসবাদে মদতের কথা ওড়ান তিনি৷ উলটে দাবি করলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে পাকিস্তান৷ এমনকী,উলটে ভারতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ জানান, ভারত হামলা করলে চুপ করে বসে থাকবে না পাকিস্তান৷ তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প পথ খোলা থাকবে না৷ তারাও প্রত্যাঘাত করবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা স্থিতিশীল অবস্থার দিকে দু’দেশের সম্পর্ককে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান৷ আমার নিজেরাই বারবার নাশকতার শিকার হচ্ছি৷ তবে কেন আমরা এই কাজ করব?’’