শাহাজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: ফের জাল আধার কার্ড (Adhaar Card) তৈরির চক্রের হদিশ মুর্শিদাবাদে। পর পর দু’দিন দু’টি আলাদা-আলাদা চক্রের পান্ডাদের হদিশ পেল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হল আরও একজনকে। সাগরদিঘির পর এবার সামশেরগঞ্জ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির পাশাপাশি বহু অত্যাধুনিক যন্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে জাল আধার এবং ভোটার কার্ড তৈরি করা হচ্ছিল। অবৈধভাবে গোপনে চলছিল এই কাজ। গোপনে সেই খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট দোকানে হানা দেয় পুলিশ বাহিনী। সামশেরগঞ্জের হাউস নগর বাজার এলাকা থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রসামগ্রী-সহ এক যুবককে আটক করে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সিম বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। অভিযুক্তের নাম মোক্তার হোসেন(৩১)। তার বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার হাউস নগরে। পরে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। বুধবার আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্লোগান থেকে এবার হেঁসেলেও ‘খেলা হবে’! বাজার মাতাচ্ছে নতুন এই চাল]
ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, ছয়টি মোবাইল ফোন ও একটি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জেরায় স্বীকার করেছে সে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড জালিয়াতি করত। এমনকী, জাল সিম কার্ডও বাজারে বিক্রি করত সে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এর মাঝেই একের পর এক জেলা থেকে জাল আধার কার্ড (Fake Adhaar Card) তৈরির খবর সামনে আসছে। বাঁকুড়া, নদিয়ার পর এবার আধার প্রতারণা নিয়ে খবরের শিরোনামে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে জাল আধার বানিয়ে দেওয়ার একাধিক চক্র গড়ে উঠেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে সাগরগিঘি এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একাধিক কম্পিউটার, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার যন্ত্র-সহ একাধিক নথি। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফের জাল আধার-ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।