সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রেমের নাটক করে নাবালিকাকে অপহরণ (Kidnap)! কিন্তু লাভ হল না তাতে। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়তেই হল অপহরণকারীকে। পুরুলিয়ার (Purulia) বান্দোয়ান থেকে শুক্রবার রাতে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ের ১৫ বছরের এক নাবালিকাকেও উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণ করে বাংলায় নিয়ে এসে তাকে কি পাচারের ছক ছিল? প্রেমের টোপ দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করার পর এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিনয় করা প্রেমিকের নাম মাসুম শেখ, বয়স ২২ বছর। তার বাড়ি মালদহের মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা গ্রামে। শনিবার মাসুমকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়ার পর চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আপাতত তার ঠিকানা পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে আনন্দমঠ জুভেনাইল হোম।
[আরও পড়ুন: ‘আমি অসুস্থ, হাঁটতে পারছি না’, সিবিআইকে ইমেল করে ৪ সপ্তাহ সময় চাইলেন অনুব্রত]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বান্দোয়ান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই ধৃত যুবক ও কিশোরী ঘোরাফেরা করছিল। সন্দেহজনকভাবে তারা ঘোরাফেরা করায় স্থানীয় মানুষজন পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বান্দোয়ান থানার পুলিশ পৌঁছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই প্রেমের নাটক করে অপহরণের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। কিশোরীকে উদ্ধার করে অপহরণের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ ভগবান! সংকটের মাঝে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিলেন খোদ হাসপাতাল সুপার]
বান্দোয়ান থানার পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পাঁচ-ছ’মাস আগে থেকে পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে (Chandigarh) কাজ করত মাসুম শেখ। অভিযোগ, সেখানে ওই কিশোরীর বাবার সঙ্গে কাজ করার সময় নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে মাসুম। এরপর সেখান থেকে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে যায়। ওই কিশোরীকে ট্রেনে করে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে নিয়ে আসে ওই ধৃত যুবক। ট্রেনের মধ্যে তাদের ব্যাগ ও টাকাপয়সা চুরি যায় বলে অভিযোগ। এরপর তারা জামশেদপুর থেকে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান আসে। সেখান থেকে ধৃত যুবক ওই কিশোরীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ছক করে বলে অভিযোগ। বান্দোয়ান থানার পুলিশের প্রশ্ন ব্যাগ, টাকাপয়সা চুরি হলেও ওই যুবক কিশোরীকে বান্দোয়ানে কেন নিয়ে এল? জামশেদপুর থেকেই তো সোজা হাওড়া চলে যেতে পারত। শুক্রবার সন্ধেবেলা ওই যুবক কলকাতাগামী বিভিন্ন বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল।