বাবুল হক, মালদহ: ট্রেনে চেপে ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হল মালদহ নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত যুককের। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি ও মালদহ (Malda) মানিকচকের বিধায়ক। অভিযুক্তের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। বাড়িতে একাই ছিল নির্যাতিতা। অভিযোগ, সে সময় প্রতিবেশী যুবক শেখ রাইহান যায়। দরজা খুলতে বলে। তবে কিশোরী দরজা খুলতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপরই দরজা ভেঙে ফেলে প্রতিবেশী যুবক। কিশোরীর গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলা হয়। হাত,পা-ও বেঁধে ফেলে সে। চিৎকার করতে থাকে কিশোরী। প্রতিবেশী যুবক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এরপর প্রতিবেশী যুবক ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে।
[আরও পড়ুন: ‘কট্টর বিজেপিদের চমকাতে হবে, বুথে যেতে দেওয়া যাবে না’, TMC বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]
কিছুক্ষণ পর কিশোরীর পরিবারের লোকজন চলে আসে। ধর্ষণের কথা পরিজনদের জানায় কিশোরী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় যায়। ওই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শেখ রাইহান এলাকাছাড়া ছিল। তার কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরনোর আগেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বসিরহাটের মাটিয়ায় (Matia) এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মাটিয়ায় দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। ওই পাড়ার এক যুবক প্রেমের সম্পর্ক তৈরিক করে। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। তার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।