অমিত সিং দেও, মানবাজার: প্রেমে প্রতারণার অভিযোগ প্রেমিকার। আর তার ভিত্তিতে প্রেম দিবসে (Valentine’s Day)রোমান্স নয়, হাজতে রাত কাটাতে হল প্রেমিককে। পরে ঠাঁই হয় শ্রীঘরে! ভ্যালেন্টাইনস ডে-র ঠিক পরদিন এমন ছবি-ই দেখা গেল পুরুলিয়ার (Purulia) বোরোতে।
কর্মসূত্রে দুবছর আগে একে অপরের সঙ্গে আলাপ। পরে ভালো লাগা থেকে ঘনিষ্ঠতা। তার পর সাত পাকে বাঁধা পড়ার স্বপ্নে বিভোর তরুণী নিজের সবটুকু সঁপে দিয়েছিলেন সেই মনের মানুষটিকে। কিন্তু তখনও জানেন না, যাঁর প্রেমে (Love) বুঁদ হয়ে রয়েছেন, তিনি আসলে একজন বিবাহিত পুরুষ। কিন্তু অন্ধ প্রেম সেসব খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনই মনে করেনি। ফলে কর্মস্থলে রাজমিস্ত্রি-শ্রমিকের প্রেম রোজ একটু একটু করে মজবুত হতে থাকে। বাড়তে থাকে স্বপ্নের ইমারত। পরে ওই যুবতী জানতে পারেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়ে পড়েছেন। লাজুক মুখে সেই কথা তিনি প্রেমিককেও জানান। ওই যুবতী ভেবেছিলেন, একথা শুনে হয়তো তাঁর প্রেমিকও তাঁরই মতো খুশি হবেন। ফলে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে আর দেরি হবে না।
[আরও পড়ুন: মিমির ইস্তফা: শতাব্দী, জুনের সঙ্গে তুলনা করেও মমতার কোর্টে বল ঠেললেন কুণাল]
কিন্তু না। তিলেতিলে গড়ে তোলা স্বপ্ন আর বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে আসমান-জমিন ফারাক। প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা, তা শোনার পর এই সম্পর্ক ভেঙে দেয় ওই প্রেমিক! মুহূর্তে ব্রেক-আপের কথা বলেন। জানিয়ে দেয়, তিনি বিবাহিত (Married)। ফলে ওই তরুণীকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে তরুণীর। কারণ শুধু নিজের জীবন নয়। তার গর্ভে যে আরও একজন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়, ইস্তফাপত্র দিয়েছি’, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর বিস্ফোরক মিমি]
কয়েকটা দিন নিজেকে সবার থেকে আড়ালে রেখে, শেষমেষ প্রেম দিবসের রাতে পুরুলিয়ার বোরো থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। দাসিহিড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রী অশোক মাঝির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাতেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার (Arrest) করে বোরো থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। অন্যদিকে নির্যাতিতা যুবতীকে এদিন ডাক্তারি পরীক্ষার পর পুরুলিয়া আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি গোপন জবানবন্দি দেন।