সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনধর্মে প্রেম ও বিয়ে। লেগেই ছিল অশান্তি। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ঘর থেকে মিলল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। শাশুড়ির মানসিক অত্যাচারেই এই পরিণতি যুবকের, দাবি পরিবারের সদস্যদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির ভদ্রেশ্বরে।
হুগলির (Hooghly) ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটির বাসিন্দা সোনু রাম (২৪)। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোনুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এলাকারই বাসিন্দা ভিনধর্মের এক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্প্রতি তাঁরা দু’জনে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল।অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে সোনুকে কিছুদিন আগে হাজতবাস করতে হয়। তাতেও থামেনি নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ, শাশুড়ি নানারকমভাবে সোনুর উপর মানসিক অত্যাচার চালাত। মঙ্গলবার শাশুড়ি জামাইয়ের বিরুদ্ধে তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ভদ্রেশ্বর থানায়। এরপরই সোনু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলে এনকাউন্টার করা হবে’, তৃণমূলকে হুমকি BJP বিধায়কের, তীব্র নিন্দা কুণালের]
বুধবার সকালে ঘরের ভিতরে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ভদ্রেশ্বর (Bhadreshwar) থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তে অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, সোনু ভালোবেসে এলাকারই নাবালিকাকে কিছুদিন আগে বিয়ে করে। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি সোনুর শাশুড়ি। পরিবারের অভিযোগ, সোনুর শাশুড়ি প্রায়শই নানারকমভাবে যুবকের উপর মানসিক অত্যাচার করত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোনু আত্মঘাতী হয়েছে। এদিন সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখেন।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে মৃতের শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই দাবিতে দীর্ঘক্ষণ সোনুর দেহ আটকে রাখে তাঁরা। পরে পুলিশ স্থানীয়দের বুঝিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় ভদ্রেশ্বর থানায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।