সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমিকার (Lover) অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। কেনাকাটায় ব্যস্ত তার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে প্রেমিকাকে খুন করে নিজের গলায় ফাঁসি দিল যুবক। বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রামে ঘটনায় শোরগোল। রবিবার রাত ১২টার পর মুহামুনি বড়ুয়া পাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, জয় অন্বেষার গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে পরে নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম অন্বেষা চৌধুরী। চট্টগ্রামের (Chittagong) রাঙ্গুনিয়া মহামুনি গ্রামের উদয়ন চৌধুরী বছর কুড়ির মেয়েটি নোয়াপাড়া কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিন বোনের মধ্যে অন্বেষাই সবার বড়। তার প্রেমিক জয় বড়ুয়া একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবান দারগার বাড়ির চা দোকানি নীলেন্দু বড়ুয়ার ছেলে। জয়ও তিন ভাইবোনের মধ্যে বড়।
[আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের]
দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, অন্বেষার বিয়ে ঠিক হয়েছিল এক প্রবাসীর সঙ্গে। আগামী ১০ মার্চ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া গ্রামের ওই প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ের দিন ঠিক হয়। অন্বেষার বাবা রণজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমার মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় টিউশনি করতে বের হয়েছিল। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে আমি আঁচ করতে পারিনি। কেউ আমাকে জানায়নি। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক করেছি, ১০ তারিখ বিয়ে। কেনাকাটা সে নিজেই করছিল মাকে নিয়ে। কিন্তু কী যে ঘটে গেল!”
এদিকে বছর ছাব্বিশের জয় বড়ুয়ার বাবা নীলেন্দু বড়ুয়া বলেন, ‘‘আমার ছেলে আমাকে চায়ের দোকানে সহযোগিতা করত। রবিবার সন্ধের দিকে মন্দিরে যাওয়ার কথা বলে দোকান থেকে বের হয়েছিল। এ কী হয়ে গেল?” আরও জানা গিয়েছে, চায়ের দোকান ছেড়ে ১ মার্চ একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জয়ের। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানিয়েছেন, একটি পরিত্যক্ত বসতঘর থেকে ওই তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, একটি ছুরিও পাওয়া গেছে। তরুণের মরদেহ ঝুলছিল ফাঁসিতে (Hanging)।
[আরও পড়ুন: আনিসের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত নিয়ে ফের জটিলতা, দেহ তুলতে বাধা দাদার, দিলেন নতুন শর্ত]
ওসি বলেন, ”দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।” প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তরুণীর বিয়ের সংবাদ শুনেই খেপে ওঠে তরুণ। তারপরই তাকে হত্যা করে তরুণ আত্মঘাতী হয়েছে।