রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: কোভিড-১৯’এর (COVID-19) নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক নিয়ে ব্রিটেন (UK) থেকে ফিরেছিলেন হুগলির বেশ কয়েকজন যুবক। নিয়ম অনুযায়ী, দু’ সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থেকে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার করানোর কথা। কিন্তু সেসব না করে ৩ বন্ধু সপরিবারে চলে যান ডুয়ার্স ঘুরতে।
ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হুগলির চুঁচুড়া এবং আলিপুরদুয়ারের রাজভাতখাওয়ায়। রাজাভাতখাওয়ার সরকারি বাংলোয় উঠেছেন তাঁরা। যদিও ওই দলের ৮ জন এবং সরকারি বাংলোর ৫ কর্মীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাতে স্বস্তি। কিন্তু পর্যটকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাড়োয়ায় মিলল এবার অস্ত্র কারখানার হদিশ, ধৃত ৩]
এ যেন প্রথমবারের অ্যাকশন রিপ্লে। ২০২০’র মার্চে কলকাতায় প্রথম করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ধরা পড়েছিল নবান্নের এক আমলার পুত্রের শরীরে। ছেলেটি পড়াশোনার জন্য লন্ডনে ছিল। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই কলকাতায় ফিরে আসে। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনে না থেকে মায়ের সঙ্গে সে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে। তারপর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি আমলার দায়িত্ববোধ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। কেন করোনা পরিস্থিতিতে ছেলেকে কোয়ারেন্টাইনে না রেখে ওভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন মা? এই প্রশ্ন উঠেছিল।
বছরের শেষেও হুগলির কয়েকজন যুবকের পদক্ষেপে দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই পরিচয় ফুটে উঠেছে। করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশকে। এ রাজ্যেও ব্রিটেনফেরত এক ব্যক্তির শরীরে মিলেছে করোনার নতুন স্ট্রেন। দেশে এ নিয়ে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫।
[আরও পড়ুন: বছর শেষে সুখবর, রাজ্যের কোভিড গ্রাফ সামান্য হলেও নিম্নমুখী, বাড়ছে সুস্থতার হার]
এই পরিস্থিতিতে গত ২০ ডিসেম্বর ব্রিটেন থেকে বিমানে কলকাতায় নামেন জনা কয়েক যুবক। নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে না থেকে এক সপ্তাহ পরেই তাঁরা সপরিবারে ঘুরতে চলে যান ডুয়ার্সে (Dooars)। রাজাভাতখাওয়ায় বনদপ্তরের সরকারি বাংলোয় ছিলেন তাঁরা। ব্রিটেন থেকে ফিরে ৭ দিনের মাথায় ফের ঘুরতে যাওয়ার কথা জানাজানি হতেই সেখানে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পৌঁছয় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে। বৃহস্পতিবার তা জানার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তাঁদের ৮ জনের এবং বাংলোর ৫ কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার সকালে প্রত্যেকের রিপোর্টই করোনা নেগেটিভ এসেছে।