সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কিছুতেই থামছে না ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। প্রায় প্রতিদিনই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে ইউরোপের অন্যতম রক্তাক্ত অধ্যায়ের ভয়াবহ ছবি। সম্প্রতি ইউক্রেনের (Ukraine) বুচা শহরে রুশ বাহিনীর নৃশংসতা দেখে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানালেন, বুচার থেকেও ভয়াবহ অবস্থা ইউক্রেনের বরোদিয়াঙ্কা-সহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের।
[আরও পড়ুন: রুশ তেল আমদানি নিয়ে ফের ভারতকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার, চাপের মুখে কি অবস্থান বদল করবে কেন্দ্র?]
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রুশ হামলার মুখে এই প্রথম কিয়েভের আশপাশের ৩০টি শহর ও গ্রামের দখল নিতে পেরেছে ইউক্রেনের ফৌজ। সেদেশের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মাল্যিয়ারের কথায়, ”কিয়েভকে আমরা পুরোপুরি দখলদারদের হাত থেকে স্বাধীন করতে পেরেছি।” তারপরই হানাদার বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার হওয়া এলাকাগুলির ভয়াবহ ছবি জনসমক্ষে উঠে আসছে। রবিবারই ইউক্রেনের বুচা শহরে রুশ ফৌজের অত্যাচারের ভয়াবহতা দেখে কেঁপে ওঠে বিশ্ব। শহরটিতে পাওয়া গিয়েছে একের পর এক গণকবর, ৩০০-রও বেশি নাগরিকের মৃত্যু, মৃত মহিলাদের শরীরে পোড়া স্বস্তিক চিহ্নের দাগ এমনকি ১০ বছরের বালিকার গোপনাঙ্গে আঘাত এবং অত্যাচারের চিহ্ণও স্পষ্ট। যা দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বে।
এই বিষয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আমরা খবর পাচ্ছি যে রুশ ফৌজের হাত থেকে মুক্ত করা বরোদিয়াঙ্কার মতো শহরগুলিতে নিহতের সংখ্যা বুচার চাইতেও বেশি। ওই শহরগুলির মানুষ কীভাবে রুশ বাহিনীর হাতে অত্যাচারিত হয়েছেন তার যাবতীয় তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে চাই আমরা। আমরা চাই, সাংবাদিকরা এই সব শহরে আসুন। গোটা বিশ্বকে জানান রাশিয়া আমাদের প্রিয় ইউক্রেনের কী অবস্থা করেছে।”
উল্লেখ্য, কবে যুদ্ধ শেষ হবে, তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসতে দেখা গিয়েছে দুই দেশকে। কিন্তু জট কাটেনি। যদিও শেষ বৈঠকের পরে কিয়েভে বড় আকারে সেনা তৎপরতা কমানোর ঘোষণা করে মস্কো। ফলে যুদ্ধ থামতে চলেছে বলেই মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা তৎপরতা কমানোর দাবি মিথ্যা। পালটা, নতুন করে সেনা সাজাচ্ছে মস্কো।