দীপালি সেন: নবম-দশম শ্রেণির বাজারজাত বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যবই পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পর্ষদ অনুমোদিত (টিবি নম্বর প্রাপ্ত) বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশিত পাঠ্যবইগুলি টিবি নম্বর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। অর্থাৎ, ওই সময়ের পরে সংশ্লিষ্ট বইগুলিতে অনুমোদন থাকবে না পর্ষদের।
সরকারিভাবে বিনামূল্যে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সব বিষয়ের বই দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নবম-দশমের ক্ষেত্রে প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা ও গণিতের বই দেওয়া হয়। ইতিহাস, ভূগোল, ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান-সহ অন্যান্য বই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম ও অন্যান্য নির্দেশাবলী মেনে বেসরকারি প্রকাশকরা প্রস্তুত করেন এবং সেগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনরে জন্য পাঠানো হয়। পর্যালোচনার পর বইগুলিকে টিবি নম্বর দেয় পর্ষদ। তারপরই প্রকাশক বইগুলিকে বাজারজাত করতে পারেন। ২০১৭ সালে শেষবার এই প্রক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর হয়নি বইগুলির পর্যালোচনা।
[আরও পড়ুন: ‘স্ত্রী, সন্তানদের গ্রেপ্তারিতেও মাথা নত করব না’, রুজিরাকে তলব নিয়ে কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি বিজ্ঞপ্তি সেকথার উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে টিবি নম্বর দেওয়া হয়েছিল এক বছরের জন্য। কিন্তু, পর্ষদের অনুমতি ছাড়াই এতদিন ধরে সেই টিবি নম্বর ব্যবহার করছেন প্রকাশকরা। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, যে বেসরকারি প্রকাশকরা তাঁদের পাঠ্যবইগুলিকে টিবি নম্বর পাওয়ার জন্য পুনর্বিবেচনার আওতায় আনতে চান, চলতি বছর ২০ জুনের মধ্যে লিখিতভাবে আবেদন জানাতে হবে।
এবছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে একাধিক স্কুলের প্রশ্নপত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পরিবর্তে ‘আজাদ কাশ্মীর’শব্দদ্বয়ের উল্লেখ ছিল। যা প্রকাশ্যে আসতেই তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলেও। তখনই জানা গিয়েছিল, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত নবম-দশমের ইতিহাস পাঠ্যবইতেই রয়েছে ‘আজাদ কাশ্মীরে’র উল্লেখ। আর সেই ‘গোড়ায় গলদ’ অনুসরণ করে প্রশ্ন করাতেই বাঁধে বিপত্তি। সেসময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলে টিবি নম্বর দেওয়া সব বই পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত গত বছর নভেম্বর মাসেই নেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক, বইগুলি পর্যালোচনায় প্রথম পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।