shono
Advertisement

পঞ্চায়েত দখল নিয়ে অশান্তি, ১১ সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত Malda

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের।
Posted: 02:39 PM Jul 27, 2021Updated: 02:39 PM Jul 27, 2021

বাবুল হক, মালদহ: মালদহের (Malda) দৌলতনগর পঞ্চায়েত নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন ১১ জন সদস্য। এবার সেই ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে ‘অপহরণ’ ও হেনস্তার অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Advertisement

দৌলতনগর পঞ্চায়েত নিয়ে অশান্তি নতুন না। মাস খানেক আগে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন প্রধানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই ১২ জন সদস্যকে স্বাক্ষর ভেরিফিকেশনের জন্য হরিশচন্দ্রপুর ব্লক অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সময় ১১ জন সদস্যকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় প্রধান নজিবুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তাঁর দলবল। এরপরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। এমনকী পুলিশের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রধানের বিরোধী ও তার পক্ষের লোকেরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

[আরও পড়ুন: Vishva Bharati: ‘ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংসের পথে’, উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি TMC সাংসদের]

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসন রয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই অপর সদস্য পিন্টুকুমার যাদব-সহ ১১ জন অনাস্থা আনে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম গোলমালের জেরেই মঙ্গলবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এখনও থমথমে এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

[আরও পড়ুন: অশালীন ছবি ফাঁস কাণ্ডে ধৃত ফটোগ্রাফারের সঙ্গে এক ফ্রেমে! কী সাফাই দিলেন Agnimitra Paul?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement