নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আমেরিকার পরে এবার জার্মানি। সেদেশে স্পেশ্যাল অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন বীরভূমের ১১ প্রতিযোগী। তাঁদের নিয়েই চর্চা চলছে এলাকায়। ঘরের ছেলে-মেয়ের বিশ্বজয় নিয়ের আশায় বুক বাঁধছে পরিবার-প্রতিবেশীরা।
গত এপ্রিলে গুজরাট, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যাম্প করে স্পেশ্যাল অলিম্পিকের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করা হয়৷ তাতে মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক পৃথক ১৮ জনের দল গঠন করা হয়। সেরকম ১৮ জনের ফুটবল দলে স্থান পায় বীরভূম জেলার মোট চারজন। এছাড়া বাকি খেলা মিলিয়ে মোট ১১ জন এই জেলা থেকে স্পেশ্যাল অলিম্পিকে বার্লিনের মাটিতে খেলতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁর মধ্যে রয়েছে ইতি মাল, পাপিয়া মুর্মুরা। নগরী কাঁটাবুনির বাসিন্দা পাপিয়া মুর্মু বলেন, “খুব ভাল লাগছে। এর আগে আমি স্পেশ্যাল অলিম্পিকে আমেরিকা খেলতে গিয়েছিলাম। এবার জার্মানি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি।” ইতি মাল বলেন, “খুব ভাল লাগছে। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি। খুব ভালভাবে খেলাধূলা করার চেষ্টা করব।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাদিকুলে দোলা সেন-মানস ভুঁইয়ারা, কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনহারারা]
উল্লেখ্য, গতবার আমেরিকার মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্পেশ্যাল অলিম্পিক। সেখানে জাতীয় মহিলা দলের প্রতিনিধি হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী পাপিয়া। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। পাপিয়া জানিয়েছিলেন, সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের নগরী গ্রামে খেলার তেমন মাঠ নেই। খেলার সরঞ্জাম নেই। প্রয়োজনে অভিষেক তাঁকে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু এখনও পাপিয়া কিছু জানাতে পারেনি তাঁর অভিষেক দাদাকে। অন্যদিকে জেলা থেকে এতজন অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়ায় খুশি জেলার আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ জেলাবাসী। খুশি খেলোয়াড়দের পরিবার পরিজনরা।