সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও ডালগোনা কফি তো কখনও আবার শাড়ি-নারী চ্যালেঞ্জ। কেউ কেউ তো ঘর মোছা, ঝাঁট দেওয়াকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করেছিল। করোনার তৃতীয় ঢেউতে সকলে যখন প্রায় ঘরবন্দি, ঠিক তখন ফেসবুক জুড়ে ফের নতুন ট্রেন্ডের আবির্ভাব। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ছে চার অঙ্কের একটি সংখ্যা-১১৭৬। সঙ্গে লেখা হরে কৃষ্ণ। কেউ জেনে বুঝে ওয়ালে লিখছেন এসব। কেউ আবার না বুঝেই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী?
করোনার দাপাদাপিতে আবার সকলে প্রায় ঘরবন্দি। ল্যাপটপ-মোবাইলে মুখ গুঁজে কেটে যাচ্ছে সময়। এমন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি! অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন একদল নেটিজেন। ১১৭৬ হরে কৃষ্ণ শব্দটা নাকি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি এই শব্দবন্ধ লিখলেই হয়ে যাচ্ছে ইচ্ছেপূরণ। কেউ কেউ অবশ্য মানতে রাজি নয়। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফে এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২১ হাজারের বেশি, কমল পজিটিভিটি রেট]
কেউ কেউ বলছেন, আসলে ১১৭৬ নম্বরটি হল একটি ‘অ্যাঞ্জেল’নম্বর ৷ এই নম্বর ‘উইশ’ বা মনের ইচ্ছে পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। নেটিজেনদের দাবি, এই সংখ্যা এবং শব্দবন্ধ লিখে কেউ যদি মনের ইচ্ছা জানায়, তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নাকি সেই ইচ্ছা পূরণ হয় ৷ আর এই ধারণা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল ভরে গিয়েছে এই শব্দ বন্ধে। ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার চলছে হাসিঠাট্টা। যাঁরা এই পোস্ট করছেন, তাদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না নেটিজেনরা।
কিন্তু এই ‘ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি’ নম্বর নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে রাজি নন অনেকেই। তাঁদের দাবি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং নিউমেরোলজি অনুযায়ী ১১৭৬ নম্বরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাঞ্জেল নম্বর। কী এই অ্যাঞ্জেল নম্বর? নিউমেরোলজি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “অঙ্কশাস্ত্রে বেশকিছু নম্বর আছে যাদের বিশেষ ধরনের ক্ষমতা আছে। যে নম্বরগুলো দেখলে বা মন্ত্রোচ্চারণের মতো করে পড়লে জীবনে কিছু ভাল ঘটনা ঘটে। মনস্কামনা পূর্ণ হয়।” তাঁদের আরও দাবি, ওই সংখ্যা সারাদিন জপ করে মনের ইচ্ছের কথা বলতে হয়। তাহলেই মিলে যায় সেই কাম্য বস্তু। নেটিজেনরা এই দাবি মানুন আর না মানুন, সংখ্যা পোস্ট করে চলেছেন তাঁরা।