সুদীপ রায়চোধুরী: এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর শুরু হয়েছে হিয়ারিং। নথিতে সামান্য ভুলেও ডাক পাচ্ছেন বহু ভোটার। কিন্তু বিএলওরা ঠিক মতো কাজ করছেন তো? নিয়ম মেনে নোটিস পাঠানো হচ্ছে তো ভোটারদের? জানতে এবার বিএলও অ্যাপে নয়া অপশন জুড়ল কমিশন।
SIR শুরুর সময়ই বিএলওদের জন্য একটি অ্যাপ লঞ্চ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে ভোটারদের নথি আপলোড ছাড়াও এসআইআরের একাধিক কাজ করা যায়। তবে ফর্ম পূরণ ও আপলোড চলাকালীন অ্যাপে একাধিক অপশন জুড়েছে কমিশন। কমপক্ষে ১২ বার নয়া অপশন যুক্ত করা হয়েছে। ফর্ম পূরণের পরও একইভাবে অপশন অ্যাড করা হয়েছে। হিয়ারিং চলাকালীন এবার জুড়ল আরও এক অপশন। সেটি হল, 'ডেলিভারি অব শিডিউল হিয়ারিং নোটিস।' জানা গিয়েছে, যাদের হিয়ারিংয়ে ডাকা হচ্ছে তাঁদের কাছে নোটিস পৌঁছেছে কিনা, তাঁরা সেটা গ্রহণ করেছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশছাড়া হওয়ার ভয় জাঁকিয়ে বসেছিল রাজ্যবাসীর মনে। পরবর্তীতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই অনেকে স্বস্তি পেয়েছিলেন। তবে কমিশন সাফ জানিয়েছিল, খসড়া লিস্টে নাম উঠলেই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। হিয়ারিংয়ের ডাক পড়তেই পারে। হিয়ারিং শুরু হতেই দেখা গেল, এ যেন এক বিড়ম্বনা! গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিএলওর ফোন পেয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা একটাই, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ও পদবির সঙ্গে মিলছে না বর্তমান বানান। কারও ক্ষেত্রে বাবার পদবির সঙ্গে মিলছে না সন্তানের পদবির বানান। স্রেফ আ-কার, ই-কার সমস্যায় একের পর এক ফোন! নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছেন বিএলও। কিন্তু বলাই বাহুল্য, এই সমস্যার নেপথ্যে খোদ কমিশন। ২০০২ সালের লিস্টে বহু ভোটারের ক্ষেত্রেই নামে সমস্যা ছিল। পরবর্তীতে তাঁরা তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শুধরেও নিয়েছেন। কিন্তু এসআইআরে ম্যাপিং করা হয়েছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট অনুযায়ী। অর্থাৎ ধরুন আপনার নামের বানানে ২০০২ সালের তালিকায় কোনও গন্ডগোল ছিল। পরে তা ঠিক হয়েছে। এনুমারেশন ফর্মে আপনি ঠিকই লিখেছেন। এবার ম্যাপিংয়ে যখন ২০০২ সালের লিস্টের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে তা মিলছে না। ফলে ডাক পড়ছে হিয়ারিংয়ে।
