সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিয়েতনামের কারাওকে বারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃত কমপক্ষে ১২ জন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, গতকাল, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ভিয়েতনামের একটি কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিন ডুং প্রদেশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হো চি মিন সিটির উত্তরে থুয়ান আন শহরের অবস্থিত একটি বারে আগুন লাগে। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশটির আন ফু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৪০ জনের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: [নজির গড়ে ট্রাসের ক্যাবিনেটের প্রধান দুই পদে কৃষ্ণাঙ্গ মন্ত্রী, মন্ত্রিসভায় নেই সুনাক]
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, থুন আন সিটির একটি তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় কারাওকে আন ফু বারে রাত ন’টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লেলিহান শিখার হাত থেকে বাঁচতে ওই পানশালার অনেক গ্রাহক এবং কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বাড়িটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে মাটিতে লাফ দেন। এর ফলে অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর দমবন্ধ হয়ে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁদের উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা।
উল্লেখ্য, থুয়ান আন শহরের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষকর্তা এনগুয়েন থানহ ট্যাম এএফপিকে বলেন, উদ্ধারকারী দল এখনও ঘটনাস্থলে নিহতদের খোঁজ করছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বুধবার জননিরাপত্তা মন্ত্রক এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও দেশ জুড়ে শহর এবং প্রদেশগুলিকে কারাওকে বার-সহ আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ সুবিধাগুলিতে সুরক্ষা মান নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন চিন। বলে রাখা ভাল, ২০১৬ সালে,রাজধানী হ্যানয়ের একটি কারাওকে বারে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।