সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজের তালে তালে নাচছিল সে। আচমকাই তাকে দেখা গেল মাটিতে লুটিয়ে পড়তে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন। এক ১৩ বছরের কিশোরের এমন মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মাত্রাতিরিক্ত শব্দে গান বাজানো নিয়ে।
ঠিক কী হয়েছিল? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সমর বিল্লোর (১৩)। তার বাড়ির সামনে একটি ডিজে বাজছিল। তা দেখেই ভিড়ের মাঝে গিয়ে নাচতে থাকে কিশোর। কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। সমরের মা বলেন, "ছেলের হার্টের সমস্যা ছিল। কিন্তু ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর আমাকে কেউ সাহায্য করেনি। সবাই নাচে ব্যস্ত ছিল।" মৃতের বাবা কৈলাস বিল্লোর বলেন, "খুব জোরে মাইক বাজছিল। বহু বার এত জোরে ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, কোনও কিছুই এই শব্দদানবকে রুখতে পারবে। যার দৌরাত্ম্যেই ছেলে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।" ভোপালের পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণচারি মিশ্র ডিজের চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে বলেছেন, "আমরা আয়োজকদের শব্দের মাত্রার সম্পর্কে আগাম নির্দেশ দিই, কিন্তু গোলমাল হয়েই চলে।"
একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুমে ভোপালের একাধিক এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯০ থেকে ১০০ ডেসিবেলের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। যা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। নিয়ম অনুযায়ী, বসতি এলাকায় দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেল ও রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেলের বেশি জোরে মাইক বাজানো যায় না। অন্য়দিকে, সাইলেন্ট জোনগুলোতে দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল ও রাতের বেলায় ৪০ ডেসিবেলের নিচে মাইক বাজাতে হবে। কিন্তু তা মানা হয় না বলেই অভিযোগ। সমরের এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক নেহা পাওয়ার বলেন, "শব্দের মাত্রা অতিরিক্ত ছিল। রোগী, বাচ্চা, বয়স্কদের খুব সমস্যা হয়। এর বিরুদ্ধে শক্ত নিয়ম আনা উচিত।"