শেখর চন্দ: ধানবাদের (Dhanbad) অভিজাত বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মৃত্যু হল ১০ মহিলা ও ৩ শিশু-সহ ১৪ জনের। আগুনে দগ্ধ হয়ে আরও অন্তত ১৮ জন হাসপাতালে ভরতি। বেশ কয়েকজন নিখোঁজও। ঘটনার পরই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে ওই বিলাসবহুল আবাসন। আজ অর্থাৎ বুধবার ঘটনাস্থলে আসবে রাঁচির ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
কয়লার শহর ধানবাদের ব্যাংক মোড়ের কাছে জোড়া ফটক এলাকায় ১১তলা অ্যাপার্টমেন্টে আগুন। মঙ্গলবার সন্ধেয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। জোড়া ফটকের ‘আশীর্বাদ টাওয়ার’ নামে ওই অভিজাত বহুতলের চতুর্থতলে প্রথম আগুন দেখা যায়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পঞ্চমতলে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। সেই সময় অধিকাংশ ফ্ল্যাটেই শিশুদের নিয়ে মহিলারাই ছিলেন। কারণ, গৃহকর্তারা বেশিরভাগ তখনও কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরেননি। যে ১৪ জনের ঘটনাস্থলেই পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলা ও ৩টি শিশু। আরও ১৪ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দমকলের ৪০টি ইঞ্জিন মধ্যরাতে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: সুন্দরবন উপকূলে নজরদারি বাড়াতে ব়্যাডার, আকাশপথে থাকছে আধুনিক হেলিকপ্টারও]
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রাতে বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। আমি নিজে উদ্ধারকার্যের উপর নজর রাখছি।’’ মঙ্গলবার রাতেই দুর্ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছেন।
এদিকে প্রাথমিকভাবে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটে ছিল না কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। কিন্তু কেন? সেটাই প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, গত শনিবারই ধানবাদের এই ব্যাংক মোড়ের কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে আগুন লেগে মৃত্যু হয় এক বাঙালি চিকিৎসক দম্পতির। ওই ঘটনায় আরও ৪ জন মারা যান। সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ওই হাসপাতালের ঠিক পিছনেই ঘটে গেল এতবড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।