সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে ততই যেন রিয়ালিটি আর ভারচুয়াল রিয়ালিটির মধ্যে ফারাক কমে আসছে। আর এহেন পরিস্থিতিতে জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন অপরাধও। এবার ব্রিটেনে ১৬ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষিতা হল মেটাভার্সে (Metaverse)! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনই অভিযোগ। বলা হচ্ছে, যদিও শারীরিক ভাবে ধর্ষণ হয়নি, তবু নির্যাতিতা কিশোরী একই রকম মানসিক আঘাত পেয়েছে যা একজন ধর্ষিতাকে পেতে হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বলা হচ্ছে, ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হল মেটাভার্স। কেননা তা আন্তর্জালের ভারচুয়াল দুনিয়াকে ‘জ্যান্ত’ করে তুলছে। সহজ ভাবে বললে এটা একটা ত্রিমাত্রিক কল্পবিশ্ব। আর সেখানেই এই পাশবিক আক্রমণের মুখে পড়তে হল ওই কিশোরীকে! তার অভিযোগ, সে ভারচুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট পরে একটি গেম খেলছিল (কোন গেম তা এখনও জানা যায়নি)। আর তখনই তার ডিজিটাল অবতারকে গণধর্ষণ করে কয়েকজন অনলাইন দুষ্কৃতী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: উঠল দেশজুড়ে চলা ট্রাক ধর্মঘট, তবু রাতভর দীর্ঘ লাইন পেট্রল পাম্পে]
মনে করা হচ্ছে, এটাই বিশ্বের প্রথম ভারচুয়াল যৌন অপরাধের মামলা। তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”ওই নাবালিকাকে একই রকম মানসিক ট্রমার শিকার হতে হয়েছে যা শারীরিক ভাবে ধর্ষিতাকে হতে হয়। আর এই মানসিক আঘাত শারীরিক ক্ষতর থেকে দীর্ঘস্থায়ী হয়।” তবে এই ধরনের অপরাধের মোকাবিলা বর্তমান আইন ব্যবস্থায় করা কঠিন বলেও জানান তিনি।
এই ধরনের মামলা ও তার তদন্ত ঘিরে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। বহু ‘বাস্তব’ ধর্ষণের মামলা যেখানে ঝুলে রয়েছে, সেখানে তা ছেড়ে এই ধরনের ধর্ষণকে কি প্রাধান্য দেওয়া যায়। এই আপত্তি ওড়াচ্ছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লেভারলি। তাঁর সাফ কথা, ”জানি সহজেই এটা উড়িয়ে দেওয়া যায়, কেননা এটা ‘বাস্তব’ নয়। কিন্তু আসল কথা হল এই ধরনের ভারচুয়াল অভিজ্ঞতার প্রভাব অবিশ্বাস্য। আর এটাও বোঝা যায়, এক নাবালিকাকে যে বা যারা এই ধরনের নির্যাতন করতে পারে, তারা সত্যিকারের পৃথিবীতেও একই অপরাধ ঘটাতে পারে।”