সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা যদি রেমালে বিধ্বস্ত হয়, তবে টর্নেডোর (Tornado) কবলে আমেরিকার (Ameriaca) একাংশ। সেখানে ঝড়ে উড়ল গাড়ি, চোখের নিমেষে টুকরো টুকরো হল বাড়ি! মার্কিন দেশের মধ্যবর্তী প্রদেশগুলিতে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এদের মধ্যে ৪ শিশুও রয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্যোগের কবলে বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে বহু এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেব এখন পর্যন্ত মেলেনি। উদ্ধারকাজ নেমেছে মার্কিন প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মিসিসিপি, ওহিও এবং তেনাসি নদীর আববাহিকা অঞ্চলে কয়েক লক্ষ মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়েছে। প্রশাসনের মতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪ শিশুর। ঝড়ে বাড়ি, গাড়ি, দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বল ইমারতগুলি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। রবিবার কমপক্ষে ১১টি টর্নেডো আঘাত হানে। এদিকে ভালো কথা শোনাচ্ছে না আবহাওয়া দপ্তর। সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এখনই দুর্যোগ থামছে না। এর ফলে মধ্য আমেরিকার ১২০ মিলিয়ান মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ’, রাহুল-কেজরির পাক যোগ নিয়ে দাবি মোদির]
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কিছুদিন প্রবল হাওয়া, শিলাবৃষ্টি এবং টর্নেডোর জেরে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। রবিবার রাতের দুর্যোগে ফলে ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ ৪২ হাজার নাগরিক বিদ্যুৎ সংযোগহীন হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্তা কেনটাকিতে। সেখানে অন্ধকারে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ। এত বড় বিপর্যয় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। টর্নেডোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে চমকে উঠছে মানুষ।