সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মার্চে বাংলায় থাবা বসিয়েছে করোনা (Coronavirus)। তারপর প্রায় এক বছর পেরিয়েছে। মারণ ভাইরাসের দাপট অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বাংলার ১৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একদিনে করোনাজয়ীর সংখ্যা ২৩৩।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন সংক্রমিত ১৮২ জনের মধ্যে ৬১ জন কলকাতার। অর্থাৎ সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানকার ৪৯ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে হাওড়া। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ১৭ জন। চতুর্থ স্থানে হুগলি। একদিনে সেখানকার ৭ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। এছাড়াও কমবেশি প্রায় সব জেলাতেই মিলেছে আক্রান্তের হদিশ। ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫, ৭৩, ৭৬২ জন। এদিন করোনায় মৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জনই কলকাতার। একজন হাওড়ার। এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। যা স্বাভাবিকভাবেই আশার আলো জাগাচ্ছে ওই জেলার বাসিন্দাদের মনে। এখনও পর্যন্ত করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ১০, ২৪৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা ২৩৩। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন কলকাতার। অর্থাৎ সংক্রমণের পাশাপাশি সুস্থতার নিরিখেও প্রথমস্থানে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। এখনও পর্যন্ত করোনাকে পরাস্ত করে হাসিমুখে ঘরে ফিরেছেন বাংলার ৫, ৫৯, ৯৮৮ জন।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতেই ভোট বয়কটের হুমকি মাওবাদীদের, অযোধ্যা পাহাড়ে মিলল পোস্টার]
করোনার দাপট খানিকটা কমলেও নিয়মিত টেস্ট চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২০,০০৩ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৪, ২৯, ৩৯৫ জনের। বর্তমানে রাজ্যে মোট কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ৬৫। সেফ হোম রয়েছে ২০০টি। সেখানে রোগী রয়েছেন মাত্র ২ জন। কার্যত সব সেফ হোমই রোগীশূন্য।