অর্ণব আইচ: ফের শহরের রাস্তায় বেআব্রু মহিলা নিরাপত্তা! আবারও ট্যাক্সির ভিতরে শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা যাত্রী। ট্যাক্সির দরজা ভিতর থেকে আটকে দুই মহিলা যাত্রীকে অন্যত্র নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে চালকের বিরুদ্ধে। সেখানে গিয়ে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করার চার ঘণ্টায় মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ।
ধৃতের নাম মনোজ কুমার। টালিগঞ্জের বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হাওড়ার বাসিন্দা এক মহিলা ও তাঁর বোন সল্টলেকের সেক্টর ২ থেকে ট্যাক্সিতে ওঠেন। গন্তব্য ছিল হাওড়ার ব্যাঁটরা। কিন্তু চালক সেখানে না গিয়ে হেস্টিংস এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় ট্যাক্সিটি নিয়ে যায়। ট্যাক্সির দরজা অটো লক করে দেওয়া হয়। তার পরই মহিলার শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় চিৎকার করতে শুরু করেন দুই বোন। গাড়ির দরজা খুলে দেয় চালক। তখনই দুই মহিলা নেমে যান। এদিকে গাড়ি নিয়ে পালায় অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: আরও নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, তবে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা]
নির্যাতিতার কাছে ট্যাক্সিটির নম্বর ছিল। তা তিনি থানায় জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন, গাড়ির প্রথম মালিক সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেই ট্যাক্সির বর্তমান মালিকের নাম জানা যায়। বর্তমান মালিক চালকের সন্ধান দেন। তারপরই গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। স্বাভাবিক এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরের রাস্তায় ট্যাক্সিতে একের পর এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এক মূক ও বধির তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গত ২৫ জানুয়ারি রাত আটটা নাগাদ কারখানা থেকে বের হয়ে বাইপাসের রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ট্যাক্সি নিয়ে কামরে আলম সামনে চলে আসে। গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কিন্তু, মূক ও বধির তরুণী সেভাবে সেই কথা উত্তর দিতে পারছিলেন না। পুলিশকে তরুণী জানান, আচমকা কামরে তাঁকে জোর করে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ট্যাক্সির ভিতরেই ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, তরুণীর কাছে থাকা ৫ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় ট্যাক্সিচালক। এরপর তরুণীকে বাইপাসের ধারে এক জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে হেঁটে পার্ক সার্কাস স্টেশনে যান তরুণী।