সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে প্য়ানেল। ধর্মতলা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন ২০০৯ চাকরিপ্রার্থীরা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মারফত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিজেদের আরজি জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্য়েই প্রকাশিত হয় সংশ্লিষ্ট প্যানেল। এরপরই তাঁদের ধরনা তুলে নেওয়ার আরজি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। সেই অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডিপিএসের সামনে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চলেছেন তাঁরা।
বুধবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিল তাঁরা। তাঁকে মিষ্টিমুখ করান চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, “হাতে নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে মিষ্টি খাওয়াবেন।” আবার এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে মিষ্টি খাইয়ে বলেন, “দিদি অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন উনি আগে মিষ্টি খান।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আরও জানিয়েছেন, “২০০৯ থেকে জট চলছিল। কিছুটা কেটেছে। তাতেই ধন্যবাদ জানাতে ফুল মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন ওঁরা। আমিও চাই দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে পান এই চাকরিপ্রার্থীরা।”
[আরও পড়ুন: থিম কান্ট্রি স্পেন, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার দিনক্ষণ জানিয়ে দিল গিল্ড]
পূর্বতন বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে সেই নিয়োগ বাতিল করে। ২০১৪ সালে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রত্যন্ত জেলাগুলির নিয়োগ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়োগ আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলই প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছর ধরে নিয়োগের আশায় বসে রয়েছেন তাঁরা। শেষে আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ৩৭ দিন ধরে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তাঁদের কথায়, “এতদিন আমরা অথৈ জলে পড়েছিলাম। মহামান্য হাই কোর্ট ও সরকার আমাদের কথা শুনেছে।” এক বছরের কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে করা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে খুশি ছিলেন চাকরিজীবীরা। তবে নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিপিএসের সামনে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। এদিন কুণাল ঘোষের আরজিতে সাড়া দিয়ে সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চলেছেন তাঁরা।