সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থবল বা সংগঠনের জোর তত নেই, যতটা রয়েছে জনতার কাছে পৌঁছে যাওয়ার শক্তি। দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে নামীদামি ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হয়ে ওঠা ডাক্তার বিপ্লব চন্দ্র এবার লোকসভার লড়াইয়ে নেমেছেন। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের SUCI প্রার্থী তিনি। গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার স্বার্থে সমাজসেবী এই চিকিৎসককে ভোট দিয়ে জেতানোর আহ্বান জানালেন উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক ডাক্তার কাফিল খান। একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে বিপ্লব চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা বলে করজোড়ে তাঁকে জয়যুক্ত করার কথা বললেন ডাক্তার খান। এর আগে SUCI-এর চিকিৎসক প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা সমাজকর্মী বিনায়ক সেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ডাক্তার বিপ্লব চন্দ্রের জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। তবে তার চেয়েও বেশি তিনি পরিচিত জনতার চিকিৎসক হিসেবে। কলকাতার নামী হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসালয়ের প্রধান চিকিৎসক। সেখানে ডাক্তার চন্দ্র প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য শিবির (Medical camps) করে থাকেন। দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বরাবর ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে বিপ্লব চন্দ্রকে। এছাড়া করোনা কালে চিকিৎসায় তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। সেভাবেই তাঁর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) চিকিৎসক কাফিল খানের পরিচয়। দুজনে একসঙ্গে বহু মেডিক্যাল ক্যাম্পে কাজ করেছেন। তাই কাফিল খানের আবেদন, ''ডাক্তার চন্দ্র খুব ভালো মানুষ, চিকিৎসক মহলে অতি জনপ্রিয়। সমাজসেবী হিসেবে তাঁর ভূমিকা খুব ভালো। অর্থবল বা সংগঠন তেমন নেই। কিন্তু আমি হাত জোড় করে বলছি, গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে ওঁকে জেতান আপনারা।''
[আরও পড়ুন: ‘কেকেআর বিশ্বের সেরা দল’, ফাইনালের আগে দলের ভূয়সী শাহরুখের]
SUCI-এর দীর্ঘদিনের সদস্য ডাক্তার বিপ্লব চন্দ্র। তবে এই প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। কলকাতা উত্তরে তাঁর লড়াই বিজেপির তাপস রায়, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে। তবে এই কেন্দ্রে সিপিএমের স্বতন্ত্র্য কোনও প্রার্থী না থাকায় SUCI-এর দাবি, লাল শিবিরের ভোট অনেকটাই পড়বে তাঁদের দিকে। প্রার্থী বলছেন, ''আগে শোনা যেত, SUCI-কে ভোট দিলে তো ভোট নষ্ট হবে। এবার প্রচারে বেরিয়ে এই কথা আর শুনতে পাচ্ছি না। এছাড়া আমাদের সঙ্গে এসে অনেকেই কথা বলছেন, আমাদের নীতি নিয়ে আলোচনা করছেন। এগুলো খুবই ইতিবাচক।'' মানুষের নানা প্রাসঙ্গিক দাবি নিয়ে দেশের মোট ১৫১ টি লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করছে SUCI. সবই হচ্ছে চাঁদা সংগ্রহ করে। এছাড়া কোথাও এই সংগঠনের তেমন আর্থিক সামর্থ্য নেই। রয়েছে শুধু লড়াই করার জেদ।