নন্দন দত্ত, বীরভূম: যুবক খুনের ঘটনার পর ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির বাঁশঝোড়। সোমবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার ২৫ টি তাজা বোমা। গোটা ঘটনায় আরও দুই গোষ্ঠীর ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও আতঙ্কে স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শনিবারের পর রবিবার রাতেও প্রবল বোমাবাজি হয় সিউড়ির (Suri) বাঁশঝোড় এলাকায়। দুটি পুলিশ পিকেট থাকা সত্ত্বেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি লেগেই আছে। সোমবার সকালে গ্রামে যান জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। সেই সময় তাঁরা দেখেন গ্রামের একটি মাঠে একটি ব্যাগ ফেলে রেখে ছুটছেন এক যুবক। স্বাভাবিকবাবেই তাঁদের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। এদিকে ফেলে আসা ব্যাগটি খুলতেই দেখা যায় ২৫ টি তাজা বোমা। এরপরই অভিযুক্ত শেখ মনসুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত যুবক কাজল শেখের অনুগামী বলেই খবর। এদিকে শনিবার রাতে যুবক খুনের ঘটনার পর এলাকায় অগ্নি সংযোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শেখ আতাইয়ের গোষ্ঠীর সদস্য শেখ কারিবুলকে।
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে দার্জিলিংয়ে আসছে সার্বিয়ান বাঘ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামলেই আগমন!]
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় সিউড়ির বাঁশঝোড় এলাকার কবর স্থানে মিলেছে শেখ মফিজুর নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই খুনের নেপথ্যে উঠে এসেছে বালি খাদান দখলের তত্ত্ব। বিরোধীদের দাবি, বালি খাদান নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই এই পরিণতি। মূল অভিযুক্ত সিউড়ি তিলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধক্ষ্য কাজল শেখ। শনিবার ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফলে বিরোধীদের একাংশ সিউড়ির ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। এদিকে কাজল শেখের দাবি, খুন ও অশান্তির সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।