স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় দিনেও পরীক্ষায় গরহাজির মেডিক্যালের (Kolkata Medical College) প্রায় আড়াইশো পরীক্ষার্থী। বিষয়টিকে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে তাঁদের অনুপস্থিত দেখানো হতে পারে। তবে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
পরপর দু’দিন কলেজ পড়ুয়ারা পরীক্ষায় গরহাজির থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক, চিকিৎসক ও সিনিয়র ছাত্ররা। তাঁদের বক্তব্য, ভিন জেলা থেকে গাড়ি চালিয়ে রোজ সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে কলেজে এসে আউটডোর করে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করেন অনেকে অধ্যাপক চিকিৎসক। অধিকাংশ চিকিৎসকের বক্তব্য, “কোভিডের (COVI-19) ভয়ে পরীক্ষা দিতে না আসা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না।” একই অভিমত কলেজ অধ্যক্ষ ডা রঘুনাথ মিশ্রর। রঘুনাথ মিশ্রর কথায়, “পরীক্ষা না দিলে অনুপস্থিত। এটাই নিয়ম। তবে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: PAC চেয়ারম্যান হচ্ছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী! নাম চূড়ান্ত বিধানসভায়]
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, এমবিবিএসের (MBBS Exam) দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের প্রথম দিনের পরীক্ষা ছিল সোমবার। সেদিন ২৫০ জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজনও আসেননি। মঙ্গলবারও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পূর্বনিধারিত সূচি অনুযায়ী হল পরিদর্শক প্রস্তুত ছিলেন। র্যাপিড অ্যান্টিজেনেরও ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও একজন পড়ুয়াও হাজির হননি। ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের পরীক্ষাকে ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট এক্সামিনেশন’ বলা হয়। প্রতিটি বর্ষে নূন্যতম তিনটি সেমেস্টার পরীক্ষা দিতে হয়। তিনটি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের অনুযায়ী পাস করলেই স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসার অনুমতি পাবেন।
কলেজের প্রবীণ অধ্যাপকদের অভিমত, কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এটা তাঁদের জন্য পৃথক ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে গণহারে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার নেপথ্যে কিছু কারণ অবশ্যই আছে। তা না হলে পরীক্ষায় না বসার সাহস আসে কোথা থেকে?” রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায়ের কথায়, “প্রথম দিন আসেনি। ভেবেছিলাম দ্বিতীয় দিন আসবে। পড়ুয়ারা যা কিছু করুণ আগে লেখাপড়া। পরীক্ষা। তাই এমন ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত।”