মলয় কুণ্ডু: রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজ্যপালের প্রেস সচিব থাকাকালীন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই নন্দিনীকে আগে স্বরাষ্ট্র সচিব পদে বসান মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁকে মুখ্যসচিব পদে আনা হল। নন্দিনীই রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব। তবে অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও বড় পদে আনল সরকার।
এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মনোজ পন্থ। ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবারই মেয়াদ শেষ হয়েছে তাঁর। এমনিও তিনি ৬ মাসের এক্সটেনশনে ছিলেন। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁর পদে থাকার কথা ছিল। সেবার রাজ্য সরকারের চাওয়া এক্সটেনশনের অনুরোধে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। মুখ্যসচিব হিসাবে মেয়াদ শেষ হলেও প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে না মনোজ পন্থের। তিনি এবার কাজ করবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব হিসাবে। মুখ্যসচিবের সম পদমর্যাদাতেই কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
তাঁর বদলে মুখ্যসচিব পদে এলেন এতদিন স্বরাষ্ট্র সচিব পদে থাকা নন্দিনী চক্রবর্তী। বরুণ রায, অত্রি ভট্টাচার্য, এবং প্রভাত মিশ্রের মতো আমলারাও মুখ্যসচিব হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নন্দিনীর নামে সিলমোহর পড়েছে। রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হিসাবে কাজ করবেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্য প্রশাসনের মাথায় এবার দুই মহিলা।
১৯৯৪-এর ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। একাধিক বিতর্কেও জড়িয়েছেন। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যপালের প্রধান সচিব ছিলেন তিনি। রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানো নিয়ে বেশ চাপানউতোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে। রাজভবন তাঁকে রিলিজ করার কথা নবান্নকে জানালেও নবান্নের নির্দেশ ছিল, রাজভবনে কাজ করুন নন্দিনী। পরে রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা করে এ বিষয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। দেওয়া হয় পর্য়টন দপ্তরের দায়িত্ব। পর্যটন দপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্বরাষ্ট্রদপ্তরের দায়িত্ব পান। এবার তিনি কাজ করবেন মুখ্যসচিব হিসাবে। তাঁর জায়গায় স্বরাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন জগদীশ প্রসাদ মীনা। বরুণ রায়কে দেওয়া হয়েছে পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব।
