সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক সম্পর্ক চেয়েছিল প্রেমিক। রাজি হয়নি কিশোরী। আর তার জেরেই খুন করা হয়েছে তাকে। আর তারপর, তার মৃতদেহকে ইচ্ছামতো ধর্ষণ (Rape) করেছে প্রেমিক এবং তার দুই বন্ধু! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উঠল অসমের করিমগঞ্জ জেলার এক ঘটনায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় রেলওয়ের এক কর্মচারী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ সেপ্টেম্বর অসমের (Assam) করিমগঞ্জ টাউন বাইপাসের পাশে, এক জায়গায় ওই নাবালিকার দেহ পাওয়া গিয়েছিল। তার বাবা-মা দেহটি শনাক্ত করেছিলেন। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, ওইদিনই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে নেক্রোফিলিয়ার প্রমাণও পেয়েছিল পুলিশ। অর্থাৎ, জানা গিয়েছিল কিশোরীর মৃতদেহর সঙ্গে যৌনতা করা হয়েছে। এর পরই, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন বা পকসো আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘আশা করি আমেরিকা বুঝতে পেরেছে’, কানাডা বিতর্কে সাফ কথা জয়শংকরের]
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলাকালীন পুলিশ মেয়েটির একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি পেয়েছিল। সেই ডায়েরিতে একটি ফোন নম্বর ছিল। নম্বরটি ধরে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। জানা যায়, নম্বরটি এক রেলওয়ে কর্মচারীর। সদ্য সে রেলের চাকরি পেয়েছিল। মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, মৃতা কিশোরীকে সে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সে বার বারই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
অভিযোগ, ৯ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়েছিল ওই রেলকর্মী। তার সঙ্গে তার দুই বন্ধুও ছিল। তিনজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। সে বাধা দিলে, তিনজন খেপে ওঠে এবং তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর, তিনজনই মেয়েটির মৃতদেহর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। এর পর, মেয়েটির দেহ তারা বাইপাসের ধারে ফেলে দেয়।