সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। প্রশ্ন উঠছে আবারও কি ফিরছে নয়ের দশকের সেই ভয়াবহ দিনগুলি? এহেন পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের কোমর ভাঙতে তৎপর হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। পুলওয়ামায় (Pulwama) শনিবার রাত থেকে চলা ১২ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হল ৩ লস্কর জঙ্গি।
এবিষয়ে বলতে গিয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে তিনজন জঙ্গি মারা গিয়েছে, তারা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। এরা লস্করের হয়ে কাজ করত। তাদের মধ্যে একজনকে জুনাইদ শিরগোজরি হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই জঙ্গি গত ১৩ মে রিয়াজ আহমেদ নামের এক পুলিশ কর্মীকে হত্যা করেছিল। কাশ্মীরের (Kashmir) আইজিপি বিজয় কুমার জানাচ্ছেন, বাকি দুই জঙ্গির নাম ফাজিল নাজির ভাট ও ইরফান মালিক। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি একে-৪৭ ও একটি পিস্তল-সহ বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পার্কসার্কাসে আত্মঘাতী কনস্টেবলের মানসিক অবসাদের কারণ কি প্রেমে টানাপোড়েন? তদন্তে পুলিশ]
গত মাসে অন্তত ১০ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তবুও উপত্যকায় অ-মুসলিম, বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। মাত্র এক মাসের মধ্যে জঙ্গিদের হানায় (Terrorist Attack) প্রাণ দিয়েছেন এক শিক্ষিকা-সহ দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি প্রকাশ্যে চলে আসে কাশ্মীরি পণ্ডিত শিক্ষকদের বদলির তালিকা। কোন শিক্ষককে কোথায় বদলি করা হবে, বিস্তারিত ভাবে সেই তথ্য দেওয়া ছিল এই তালিকায়। এই ঘটনায় তীব্র রোষের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এদিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে খতম করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) হত্যাকারীদের বদলার বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। বিগত দিনে উপত্যকায় একের পর এক খতম করা হয়েছে জেহাদি কমান্ডারদের। গত জুন মাসে শ্রীনগরে নিকেশ করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। এবারও সেই আক্রমণাত্মক পথেই হাঁটছে বাহিনী।