সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার অমৃতসর বিমানবন্দরে (Amritsar Airport) হুলুস্থুলু পড়ে যায়। সিঙ্গাপুরগামী একটি বিমান নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টা আগে ওড়ে। ফলে ওই বিমানের ৩৫ জন যাত্রীর যাত্রাভঙ্গ হয়। স্বভাবতই এর পরে যাত্রীরা বিমানবন্দরে হইচই শুরু করেন। যদিও সিঙ্গাপুরের বিমান সংস্থাটি কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ (DGCA)। ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, বুধবার ফ্লাইস্কুট এয়ারলাইন্সের (Scoot Airline) সিঙ্গাপুরগামী বিমানটির উড়ানের সময ছিল সন্ধে ৭টা বেজে ৫৫ মিনিট। যদিও সেটি দুপুর ৩টে নাগাদ উড়ে যায়। এর ফলেই ৩৫ জন যাত্রী বিমান চাপতে পারেননি। এর পর ওই যাত্রীরা বিমানবন্দরে চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। তাঁরা বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে পাঁচ ঘণ্টা আগে বিমানটি রওনা দিল কেন?
[আরও পড়ুন: ‘যোশিমঠে সব ঠিক আছে, অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না’, দাবি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর]
যাত্রীদের অভিযোগ পেতেই বিমান সংস্থাকে জবাবদিহি করতে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। উত্তরে বিমান সংস্থাটি জানায়, উড়ানের সময় পরিবর্তনের কথা ই-মেল মারফত জানানো হয়েছিল যাত্রীদের। এই বিষয় অমৃতসর বিমানবন্দরের ডিরেক্টর বলেন, “সিঙ্গাপুরগামী উড়ানে ২৮০ জনের যাওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ২৫৩ জন যাত্রী ওই বিমানে চাপতে সক্ষম হয়েছেন।”
ঘটনার তদন্তে নেমে ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষ অমৃতসর বিমানবন্দর এবং স্কুট এয়ারলাইন্স কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। বিমান সংস্থা ই-মেল মারফত যাত্রীদের সময় সময় পরিবর্তনের বিষয়টি জানানোর কথা বললেও বিমানবন্দরের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, এক ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে প্রায় ৩০ জন টিকিট কেটেছিলেন। ওই ট্রাভেল এজেন্ট উড়ানের সময় পরিবর্তনের কথা যাত্রীদের আদৌ জানানি।
[আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের সিসিটিভি ফুটেজ নষ্টের অভিযোগ, গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ রাজ্যের]
প্রসঙ্গত, এর আগে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে (Bengaluru Airport) একই ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লিগামী একটি বিমান ৫৫ যাত্রীকে ছাড়াই রওনা দিয়েছিল সেবার। যাত্রীরা যখন বাসে চেপে রানওয়ের দিকে এগোচ্ছিলেন তখনই উড়ে যায় বিমানটি। চার ঘণ্টা পরে অন্য একটি বিমানে তাঁদের উড়ানের ব্যবস্থা হয়।