বাবুল হক, মালদহ: ফের টাকার পাহাড়! এবার কড়কড়ে নগদ ৩৭ লক্ষ টাকা মিলল এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে। শনিবার মালদহের কালিয়াচক থানার মোজমপুর-শ্রীরামপুর এলাকার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামের এক শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই নগদ টাকা।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) শনিবার ওই গ্রামে বিশেষ অভিযান চালায়। পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বান্ডিল-বান্ডিল ৫০০ টাকার কড়কড়ে নোট। এসটিএফ সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালিয়াচক থানার মোজমপুর থেকে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন সমেত রয়েল শেখ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সেই মাদক কারবারি এখনও জেলহাজতে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ড: বিনয় মিশ্রকে দেশে ফেরাতে তৎপর CBI, দ্বারস্থ আদালতের]
এসটিএফ অফিসাররা বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। এদিন সাফল্য মিলেছে বলে ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। এসটিএফের দাবি, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েল শেখের। রয়েল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। ওই মহিলাকে এই মামলায় মূল অভিযুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ এবং জেলা পুলিশ। এদিন উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা এবং ধৃত ফাতেমা বিবিকে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহের কালিয়াচক থানার মোজমপুর, শ্রীরামপুর, গঙ্গানারায়ণপুর, শাহবাজপুর, জালুয়াবাথাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারের জাল ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী এই মাদক কারবারে লক্ষ-লক্ষ টাকা লগ্নি করছেন বলেও খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় মাদক কারবারে ধৃত রয়েল শেখকেও সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করবে পুলিশের তদন্তকারী দল। তারপরই গোটা রহস্য উন্মোচন হবে বলে জেলা পুলিশের একাংশ মনে করছে। যদিও এই ঘটনায় মালদহ জেলা পুলিশের কোনও কর্তা এদিন মুখ খুলতে চাননি।