সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৫ জুন থেকে প্রতিদিন এ রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন চারশোরও বেশি মানুষ। আনলক ওয়ানে বাড়তে থাকা সংখ্যাটা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছিল রাজ্যবাসীর। অবশেষে সেই উদ্বেগ খানিকটা হলেও কমল। কারণ চারদিন পর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যাটা চারশোর নিচে নামল।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। গত চারদিন তা প্রায় সাড়ে চারশোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৯৮৫-তে। অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘণ্টাতেই যে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০০-এর গণ্ডি পার করবে, তা বলাই বাহুল্য। এদের মধ্যে অ্যাকটিভ কেস ৪ হাজার ৯৫০।
[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে গিয়েছিলেন কেরলে, মাঝপথেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বাসচালকের]
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ১০ জন। স্বাস্থ্যদপ্তর নয়া তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪১৫ জন COVID-19 রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫৫ জন। রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ৩,৬২০ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের গত কয়েকদিনের পরিসখ্যানে নজর রাখলে দেখা যাবে, আনলক ওয়ান পর্বে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। কিন্তু এদিন ছবিটা খানিকটা আলাদা। দেখা যাচ্ছে, একদিনে ৭ হাজার ৮০২টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। যা অনেকটাই কম। এখনও অবধি মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি টেস্টের পরিমাণ কমাতেই আক্রান্তের সংখ্যা কম? অর্থাৎ এই পরিসংখ্যান দেখে কোনওভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাচ্ছে না।
আনলক ওয়ানে অনেকটাই স্বাভাবিক জনজীবন। সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করেই বাস-অটোয় যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। বাজার-মার্কেট প্লেসেও উপচে পড়া ভিড়। খুলে গিয়েছে শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। প্রতিক্ষেত্রেই সরকার করোনা রুখতে নিয়মবিধি জারি করেছে। কিন্তু মানছে কতজন? বাসের উপচে পড়া ভিড়েই আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট। এরই মধ্যে টেস্টের সংখ্যা কমলে পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে, সে আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: সুদূর বস্টন থেকে সুন্দরবন, বাংলার টানেই আমফান বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠালেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ]
The post টানা চারদিন পর ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় চারশোর নিচে নামল আক্রান্তের সংখ্যা appeared first on Sangbad Pratidin.