সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ মাত্রই ‘আমি’ কেন্দ্রিক। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সারা পৃথিবীকে দেখতে ভালবাসে। তার ভিত্তিতেই করে তুল্যমূল্য বিচার। ভালবাসার ক্ষেত্রে এই আমার আমিত্বে খুব একটা সমস্যা ততক্ষণ হয় না, যতক্ষণ না তাতে ঈর্ষার প্রভাব পড়তে শুরু করে। মনের সুপ্ত হিংসুটে ভাবটা কখন আপনার সম্পর্কে ঘুণ ধরাতে শুরু করবে, নিজেই বুঝতে পারবেন না। তাই মনের এই ভাবকে মোটেও হালকা চালে নেবেন না। তাকে বশে রাখতে শিখুন। সহজ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই হবে।
১) আত্মসমীক্ষা করতে শিখুন। সঙ্গীর ভুল ধরার আগে নিজে ভেবে দেখুন আপনি তাঁর পরিস্থিতিতে থাকলে কী করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে আপনিও হয়তো একই কাজ করতেন। আপনি আপনার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। তাই নিজেকে বন্ধুর মতোই বোঝান।
২) অনেক সময় ঈর্ষা মনের ভিতরে এতটাই প্রভাব বিস্তার করে ফেলে মানুষ বুঝতেই পারে না সে কী করছে, কেনই বা করছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কাছের এমন কোনও মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিন, যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন আর যিনি আপনার সম্পর্কের বিষয়ে খুব ভালভাবে জানেন। আপনি যে ফাটল দেখতে পাচ্ছেন না, তা তিনি অনায়াসেই দেখতে পাবেন। কারণ তিনি তৃতীয় ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: শরীরের এই সব অংশে বিশেষ ম্যাসাজে মিলনে ব্যাকুল হয়ে উঠবেন সঙ্গীনি]
৩) ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।’ নিজের অবিশ্বাসকে অকারণে একদম পাত্তা দেবেন না। প্রয়োজন হলে নিজের সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা সমীক্ষা করুন। দেখবেন বিশ্বাসের অনেক কারণ খুঁজে পাবেন অতীতের টুকরো মুহূর্তে। ঈর্ষার আর কোনও স্থানই থাকবে না।
৪) ঈর্ষা থেকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাগের উৎপত্তি। আর রাগ হচ্ছে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঘরোয়া হিংসার শিকড়। রাগের মাথায় কখন যে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসবেন ভাবতেও পারবেন না। রাগ প্রশমিত করে ভাবুন আদৌ কি আপনার অবিশ্বাসের জায়গাটি যুক্তিযুক্ত? যদি তা নয় তাহলে তো হিংসারও কারণ নেই। হিংসাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং নিজের ভাবনা চিন্তাকে উন্নত করুন। তাতেই ভাল থাকবেন।